যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র বুধবার হামাস ও ফিলিস্তিন ইসলামিক জিহাদের (পিআইজে) সঙ্গে যুক্ত অন্যতম নেতা এবং অর্থদাতাদের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় দফা নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে।
অফিশিয়াল বিবৃতি অনুসারে, সমন্বিত ‘নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য সম্পদ জব্দ করা এবং ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপের মাধ্যমে হামাসকে বিচ্ছিন্ন করা’।
নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হওয়া সাত ব্যক্তির মধ্যে হামাসের সহপ্রতিষ্ঠাতা মাহমুদ জাহার এবং হামাসের বহিরাগত সম্পর্কের প্রধান আলি বারাকা রয়েছেন, যিনি ৭ অক্টোবরের হামলাকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছিলেন এবং জিম্মিদের ন্যায্যতা দিয়েছিলেন। পাশাপাশি হামলার সঙ্গে জড়িত আরেকটি গ্রুপ ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের একজন নেতার ওপরও এই নিষেধাজ্ঞাগুলো আরোপ করা হয়েছে।
ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, ‘গাজায় হামাসের কোনো ভবিষ্যৎ থাকতে পারে না। হামাস ও ফিলিস্তিনি ইসলামিক জিহাদের ওপর আজকের নিষেধাজ্ঞা তাদের অর্থায়নের পথ বন্ধ করে দেবে এবং তাদের আরো বিচ্ছিন্ন করবে।’
ব্রিটিশ এ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘আমরা একটি দীর্ঘমেয়াদি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছনোর জন্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব, যাতে ইসরায়েলি এবং ফিলিস্তিনিরা শান্তিতে বসবাস করতে পারে।’
৭ অক্টোবর হামাসের আন্তঃসীমান্ত হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসরায়েল আকাশ ও স্থল থেকে গাজা উপত্যকায় বোমাবর্ষণ করছে, অবরোধ আরোপ করেছে এবং স্থল অভিযান চালিয়েছে।
অন্যদিকে ইসরায়লি সরকারের পরিসংখ্যান অনুসারে, হামাসের হামলায় ইসরায়েলি নিহতের সংখ্যা প্রায় এক হাজার ২০০। পাশাপাশি জিম্মি রয়েছে ১৩৯ জন।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে মঙ্গলবার গাজায় মানবিক যুদ্ধবিরতির দাবিতে ব্যাপক ভোট পড়েছে।