রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে সাময়িক বিরতির ঘোষণা দিয়েছেন। ক্রেমলিন জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি ৮ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত কার্যকর থাকবে, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তি উপলক্ষে বিজয় উদযাপনের সময়ের সঙ্গে মিলিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুতিন ‘মানবিক বিবেচনায়’ এই যুদ্ধবিরতির নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবৃতির অনুবাদে বলা হয়েছে, ‘রাশিয়া মনে করে, ইউক্রেনীয় পক্ষেরও উচিত এই উদাহরণ অনুসরণ করা।
ইউক্রেন অবশ্য এখনো এ নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
এর আগে খ্রিস্টানদের ধর্মীয় উৎসব ইস্টার উপলক্ষে ৩০ ঘণ্টার একটি যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দিয়েছিল ক্রেমলিন।
ইউক্রেনে এর আগে ২০ বারের বেশি যুদ্ধবিরতি চেষ্টার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সব কটিই শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছে, অনেক সময় কার্যকর হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই। সবশেষ ইস্টার যুদ্ধবিরতি ছিল খুবই সীমিত পরিসরে এবং এতে মাত্র সামান্য লড়াই কমেছিল। কিন্তু উভয় পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনার জন্য যুক্তরাষ্ট্র যে সময়টিকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে উল্লেখ করেছে, তার মধ্যে এই নতুন ঘোষণা এলো। ওয়াশিংটন দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা করানোর চেষ্টা করছে, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন হুমকি দিয়েছে, অগ্রগতি না হলে তারা আলোচনার চেষ্টা থেকে সরে আসবে।
পুতিন চাচ্ছেন, এমন একটি চিত্র তুলে ধরতে, যেখানে রাশিয়া শান্তি প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে আন্তরিক। তিনি চান, ডোনাল্ড ট্রাম্পও সেই বার্তা শুনুক, বিশেষ করে যখন ইউক্রেন ওয়াশিংটনের প্রস্তাবিত দীর্ঘমেয়াদি ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতিতে সম্মতি দিয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে রাশিয়ার অব্যাহত হামলার ঘটনায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন।
রাশিয়া ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরু করে এবং বর্তমানে ইউক্রেনের প্রায় ২০ শতাংশ ভূখণ্ড রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ২০১৪ সালে মস্কোর দখলকৃত দক্ষিণের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ। ২০২২ সালের পর থেকে সব পক্ষ মিলিয়ে কয়েক লাখ মানুষ নিহত বা আহত হয়েছে, যার মধ্যে বেশির ভাগই সেনা সদস্য।