শিক্ষা উপদেষ্টা ড. সি আর আবরার বলেছেন, ‘আমরা একটা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে ধৈর্য ধরতে হবে। দাবিদাওয়াগুলো সম্মানের সঙ্গে উপস্থাপন করতে হবে। একই সঙ্গে আলাপ-আলোচনার ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে।

 

সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের অডিটরিয়ামে ‘কারিগরি শিক্ষার মানোন্নয়ন : বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সম্ভাবনা ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, জুলাই আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা একটা ট্রমার মধ্য দিয়ে গেছে। সে কারণে আচরণে পার্থক্য থাকবে। সবার কাছ থেকে স্বাভাবিক আচরণ আশা করা যাবে না।

এ ক্ষেত্রে তাদেরকে বুঝিয়ে আদর করে পাঠ দান করতে হবে। 

 

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, মূল ধারার শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি শিক্ষা সম্পৃক্ত করা দরকার। কারণ কারিগরি শিক্ষাকে অবমূল্যায়ন করা হয়। এ শিক্ষাব্যবস্থাকে বলা হচ্ছে মিস্ত্রি বানানোর কারখানা।

এই ধরনের নেতিবাচক ধারণা থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

 

তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। এখানে কাঠামোগত সংস্কারের দরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ট্রেডভিত্তিক শিক্ষকের বড় ধরনের ঘাটতি রয়েছে। প্রয়োজনীয় দক্ষতা ও নিউ টেকনোলজির অভাব রয়েছে।

এসব দূর করার জন্য কারিগরি শিক্ষাকে আরো যুগোপযোগী করার পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

 

শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, শিক্ষালাভ করে অনেকে বেকার রয়েছে। তাদের চাকরির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। তার বিকল্প হিসেবে কারিগরি শিক্ষায় জোর দিতে হবে।

কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ ম কবিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সিদ্দিক জোবায়ের, জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান (সচিব) মিজ নাসরিন আফরোজ ও কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমদ খান।