ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ হামলা নিয়ে ইসলামাবাদ ও নয়াদিল্লির মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। এর মধ্যেই ভারতের কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রচার করা হয় যে, পাকিস্তানে সামরিক সরঞ্জাম বহনকারী বিমানে অস্ত্র পাঠিয়েছে তুরস্ক। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে এই তথ্য অস্বীকার করেছে তুরস্ক।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান ভারত ও পাকিস্তানকে সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানানোর পর দেশটির পক্ষ থেকে ইসলামাবাদে অস্ত্র পাঠানোর কথা অস্বীকার করা হলো।

 

এশিয়ার দুই প্রতিবেশীর চলমান উত্তেজনা নিয়ে সোমবার (২৮ এপ্রিল) মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এরদোয়ান বলেন, পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ রূপ নেওয়ার আগেই তুরস্ক পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে উত্তেজনার অবসান চায়।

মঙ্গলবার তুরস্ক সরকারের যোগাযোগ অধিদপ্তর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (পূর্বে টুইটার) এক পোস্টে জানায়, তুরস্ক পাকিস্তানে অস্ত্র ভর্তি ছয়টি বিমান পাঠিয়েছে- শিরোনামে কিছু সংবাদমাধ্যমের প্রকাশিত এ সংবাদটি সত্য নয়।

এ বিষয়ে জানেন এমন কর্মকর্তাদের বরাতে চীনের বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানিয়েছে, একটি তুর্কি কার্গো প্লেন শুধু জ্বালানি ভরার জন্য পাকিস্তানে অবতরণ করে ও পরে নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে বিমানটি পাকিস্তান ছেড়ে গেছে।

এর আগে টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে জানানো হয়, রোববার (২৭ এপ্রিল) তুর্কি বিমান বাহিনীর একটি হারকিউলিস-ওয়ানহান্ড্রেড-থার্টি কার্গো প্লেন করাচিতে অবতরণ করেছে। এতে নানা রকম সামরিক সরঞ্জাম ছিল।

তুরস্ক পাকিস্তানকে প্রতিরক্ষা সহায়তা দিচ্ছে, এটি তারই ইঙ্গিত বলে দাবি করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। এটিকে বৃহত্তর প্রতিরক্ষা সহায়তার অংশ বলে উল্লেখ করে তারা।