গত ৮ মে ১৩৯ উপজেলায় অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপের ভোটে ৮১ জন, ২১ মে ১৫৬টি উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপের ভোটে ৮৯ জন এবং ২৯ মে ৮৭টি উপজেলায় অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের ভোটে ৪৭ জন চেয়ারম্যান মোট ভোটের ২০ শতাংশেরও কম পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
ক্রমে ভোটের হার কমতে থাকা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই জনগণ ভোটের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যার ফলে উপজেলা নির্বাচনে কেউ কেউ ৬-৭ শতাংশ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হয়েছেন। নির্বাচনব্যবস্থার ভবিষ্যৎ কী—এসব নিয়ে আর কথা বলতে চাই না।’
আন্ত জেলায় ভোটের হারে বড় ব্যবধান
চতুর্থ ধাপের ভোটে ভোলার মনপুরা ও চরফ্যাশন উপজেলায় ভোট পড়ার হারে রয়েছে বড় ব্যবধান। এর মধ্যে মনপুরায় এ ধাপের সর্বোচ্চ ৬০.৬৮ শতাংশ ভোট পড়লেও চরফ্যাশনে ভোট পড়ার হার মাত্র ২২.০১ শতাংশ।
একই রকম চিত্র বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলায়। পাশাপাশি উপজেলা হলেও আমতলীতে প্রদত্ত ভোটের হার ২৯.৬৫ শতাংশ আর তালতলী উপজেলায় তার প্রায় দ্বিগুণ—৫৭.৯৪ শতাংশ।
ইভিএমে ভোটের হার কম
চতুর্থ ধাপের ভোটে ছয়টি উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট অনুষ্ঠিত হয়। এসব উপজেলায় গড় ভোটের হার ২৯.৭০ শতাংশ বলে জানিয়েছে ইসি। বাকি ৫৪ উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হয় ব্যালট পেপারে। এসব উপজেলায় ভোট পড়ার হার ছিল ৩৫.৬০ শতাংশ। ইভিএমে ভোট পড়ার সর্বোচ্চ হার সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে—৩৭.৮০ শতাংশ।