সেই সঙ্গে স্যুপ হিসেবেও অত্যন্ত সুস্বাদু হয়ে থাকে।
কক্সবাজারে সাগর ফিশ এক্সপোর্ট প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার ও বাংলাদেশ এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আবদুল শুক্কুর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি নব্বই দশক থেকে চীন ও হংকংয়ের বাজারে সামুদ্রিক পোয়া প্রজাতির মাছ ও ফত্না রপ্তানি করে আসছি। গেল বছর থেকে আমেরিকার বাজারেও পাঠাচ্ছি। বিদেশের বাজারে এখন হোয়াইট ক্রোকার জো ফিশের ফত্নার প্রতি কেজির দাম ১৫ লাখ টাকা।’
তিনি বলেন, তবে অন্যান্য প্রজাতির পোয়া মাছের দাম এত বেশি না। সবচেয়ে বেশি দাম কেবল সাদা প্রজাতির পোয়ার। কক্সবাজারে তাঁর কারখানায় সামুদ্রিক পোয়া প্রজাতির মাছ সূর্যের তাপে প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আবদুল শুক্কুর আরো জানান, প্রতি কেজি ৫০ ডলার হিসাবে সামুদ্রিক অন্যান্য পোয়া প্রজাতির এক টন মাছ বিমানে শিগগিরই আমেরিকায় পাঠানো হবে। বাংলাদেশ থেকে একমাত্র তাঁর প্রতিষ্ঠানই আমেরিকায় সামুদ্রিক মাছ (সি ফুড) রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
গত শুক্রবার ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম কক্সবাজারে সাগর ফিশ এক্সপোর্ট কারখানা পরিদর্শন করেন। এ সময় সামুদ্রিক সাদা পোয়া মাছের ফত্নার এমন দাম শুনে আশান্বিত হয়ে সাগরে মাছটির রক্ষণাবেক্ষণসহ বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের পথ আরো বেগবান করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ সময় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ নুরুল আবছার বলেন, কক্সবাজারের সাগর এলাকায় পোয়া প্রজাতির মাছের বংশ বৃদ্ধির ব্যাপারে যা করণীয় তাই করার সহযোগিতা দেওয়া হবে।