NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, মে ১২, ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন আজ, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা তুরস্ক যে কারণে প্রকাশ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন করছে জেলেনস্কিকে অবিলম্বে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে বললেন ট্রাম্প কাশ্মীর হামলা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে নীরাবতা ভাঙলেন অমিতাভ ৭ গোলের থ্রিলার, এমবাপের হ্যাটট্রিকেও বার্সার কাছে হার রিয়ালের দীপ্ত পেলো কিশোরগঞ্জের মিষ্টি, বরিশালের সাকিবকে থানায় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলবেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশে যুক্ত হলো নতুন বিধান ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় ‘গর্বিত’ ট্রাম্প জামিনে মুক্তি পেলেন টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী
Logo
logo

মাকে দেখেছি কখনো হতাশ হতেন না : প্রধানমন্ত্রী


খবর   প্রকাশিত:  ২৫ নভেম্বর, ২০২৩, ০৫:২৬ পিএম

মাকে দেখেছি কখনো হতাশ হতেন না : প্রধানমন্ত্রী

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি জানি না আব্বা দুইটা বছর একটানা জেলের বাইরে থেকেছিলেন কি না। কিন্তু মাকে দেখেছি কখনো হতাশ হতেন না। সব সময় তিনি ঘর-সংসারসহ সব কিছু সামাল দিতেন।’ 

আজ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ‘বঙ্গমাতা পদক প্রদান’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ আয়োজন করা হয়। এ সময় তিনি আরো বলেন, আমার মা সব সময় বাবার পাশে থাকতেন। তিনি বাবাকে বলতেন, ‌‌‍‘রাজনীতি করো আপত্তি নেই, কিন্তু পড়াশোনা করো।’ আমার দাদাও আব্বাকে বলেছিলেন, ‘যে কাজই করো পড়াশোনাটা করতে হবে।’

 

সরকারপ্রধান বলেন, ‘আমার মায়ের মুখে কোনো দিন অভাব-অনটনের কথা শুনিনি। তিনি একটা সাহস নিয়ে চলতেন।’ তিনি বলেন, দলের ভেতরে সমস্যা দেখা দেয়। মওলানা ভাসানী দল ছেড়ে চলে যান।

তখন দলের দায়িত্ব নেওয়ার জন্য আমার বাবা মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন। আম্মা এ ব্যাপারে কোনো দিন অভিযোগ-অনুযোগ করেননি। তিনি হাসিমুখে মেনে নিয়েছেন। সব সময় স্বামীর পাশে থাকতেন। চড়াই-উতরাই পেরিয়ে জীবনে মাকে কখনো ভেঙে পড়তে দেখিনি।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার মায়ের অদ্ভুত স্মরণশক্তি ছিল। তিনি যে কথা একবার শুনতেন বা জানতেন, তা সব সময় মনে রাখতেন। আমরা মাকে বলতাম, জীবন্ত টেপরেকর্ডার। সব সময় আমাদের বাড়ি গোয়েন্দা নজরদারিতে থাকত। গোয়েন্দাদের নজর এড়িয়ে আমার মা বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে নেতাদের সঙ্গে কথা বলতেন এবং নির্দেশনা দিতেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ৭৫-এর ১৫ আগস্ট তারা আমাদের বাড়িতে আক্রমণ করল, বাবাকে মেরে ফেলল। মা বের হয়ে আসলেন। তারা বলল, আপনি আমাদের সঙ্গে চলেন। মা বললেন, তোমরা যেহেতু তাকে মেরে ফেলেছ। আমাকেও গুলি করে মেরে ফেলো। আমি কোথাও যাব না। জীবনের পাশাপাশি মরণেও আমার বাবার সাথি হয়ে চলে গেছেন মা।