নিউইয়র্ক: “মহান শহিদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস” উদযাপন উপলক্ষে বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেল নিউইয়র্ক কর্তৃক বহুজাতিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে ২১ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার নিউইয়র্ক স্টেটের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সিনেটর ও অ্যাসেম্বলীমেম্বার, নিউইয়র্ক মেয়র অফিসের কশিনার, বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল ও বিদেশি কুটনীতিকগণ অংশগ্রহণ করেন। 

এসময় বিদেশী অতিথিদের পাশাপাশি বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, একুশের প্রথম প্রহরে কনস্যুলেটে অস্থায়ী শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্যদিয়ে কর্মসূচির প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

দ্বিতীয় পর্বের অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ও প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম বীরউত্তম প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। বক্তব্য রাখেন পেরুর  কনসাল জেনারেল ও নিউইয়র্কস্থ সোসাইটি অব ফরেন কনসালস্ এর সভাপতি রাষ্ট্রদূত মারিতা ল্যান্ডাভেরী। 

 

আরো বক্তব্য রাখেন নিউইর্য়ক স্টেট সিনেটর জন ল্যু, সিনেটর জেসিকা রামোস, এ্যাসেম্বলীম্যান ডেভিড উইপ্রিন,কাউন্সিলওম্যান শাহানা হানিফ ও মেয়র অফিসের ইমিগ্রেশন বিষয়ক কমিশনার ম্যানুয়েল ক্যাস্ট্রো এবং আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিশনার দিলিপ চৌহান প্রমুখ। 

অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, কাজাখস্তান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া,গায়ানা, নেপাল, সিঙ্গাপুর, পোল্যান্ড ও সার্বিয়াসহ উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কূটনীতিক উপস্থিত ছিলেন।

দিবসটি উপলক্ষে একটি প্রামান্য চিত্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অমর একুশের কালজয়ী গানের ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। বাংলাদেশ, কাজাখস্তান ও পেরুর শিল্পীদের পরিবেশনায় একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয় যা দর্শকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়।