জ্যাকসন হাইটসের ৭৩ স্ট্রিটে আপনা বাজারের সামনে দিনেদুপুরে ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন কার্তিক সাহা নামের এক ব্যক্তি। ২ সেপ্টেম্বর দুপুরে ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে ৩৫০০ ডলার ছিনিয়ে নেয়। তিনি তার পুরো মাসের বেতন ব্যাংক থেকে তুলেছিলেন। কার্তিক সাহা (কে সাহা) নিউইয়র্কের করোনার বাসিন্দা। ঘটনার দিন বেলা আড়াইটার দিকে জ্যাকসন হাইটসের আপনা বাজারের সামনে কেনাকাটা করার জন্য আসেন তিনি। কেনাকাটার আগে তিনি জ্যাকসন হাইটসের একটি ব্যাংক থেকে ৩ হাজার ৫০০ ডলার তোলেন। এরপর তিনি কেনাকাটা করার জন্য আপনা বাজারের সামনে বিভিন্ন জিনিস পছন্দ করছিলেন। এ সময়ই ওই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। কার্তিক সাহা একটি সিকিউরিটি কোম্পানিতে কাজ করেন। এ সময় তার পরনে কালো রঙের পোশাক ছিল। তার পোশাক দেখেও ছিনতাইকারীরা ভয় পায়নি। কে সাহা বলেন, আমি এখানে কেনাকাটা করার জন্য এসেছিলাম। এর আগে ব্যাংক থেকে অর্থ উঠিয়ে এনেছিলাম। ওই অর্থ আমার পুরো মাসের বেতন। এই বেতনের অর্থ দিয়ে পুরো মাস কাটাতে হবে। এখন কী করব বুঝতে পারছি না। তিনি আরো বলেন, দুজন লোক আমার কাছে আসে। একজন আমার পাশে দাঁড়িয়ে কেনাকাটার জন্য জিনিস বাছাই করার ভান করছিল। অপরজন আমার পেছনে পচা টমেটো ছুড়ে মারে। এতে আমার পোশাকের পেছনের অংশে টমেটোর দাগ লেগে যায়। এর মধ্যে একজন আবার টমেটোর ওই দাগ মুছে দিতে থাকে। অন্যজন পাশে এসে দাঁড়ায়। এরই মধ্যে আমার ব্যাগের চেইন খুলে ওপরে রাখা সব অর্থ নিয়ে নেয়। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, আমি বুঝতেই পারিনি। ওরা চলে যাওয়ার পর ব্যাগে হাত দিয়ে দেখি ব্যাগের চেইন খোলা। কোনো ডলার নেই। এ অবস্থায় পুলিশকে কল করি। পুলিশ আসার পর তাদের পুরো ঘটনা খুলে বলি। দুজন পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনার পুরো বিবরণ শুনে কে সাহার কাছে জানতে চান, তিনি কাউকে চিনতে পেরেছেন কি না। কে সাহা পুলিশকে জানান, তিনি কাউকে চিনতে পারেননি। তবে তিনি এটা বলেন, অপরাধীরা ৩৭ অ্যাভিনিউ ধরে ৭৪ স্ট্রিটের দিকে চলে গেছে। ঘটনাস্থলে যে দুজন পুলিশ অফিসার আসেন, তাদের একজন ছিলেন বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অফিসার। তিনি ও অপর পুলিশ অফিসার আপনা বাজারের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলেন। যে সময়ে ঘটনাটি ঘটেছে এর ভিডিওচিত্র দেখানোর কথা বলেন ওই দুই পুলিশ সদস্য। তারা ভিডিওচিত্র দেখে ও পুরো ঘটনার বিবরণ জেনে অপরাধীদের খুঁজে বের করার আশ্বাস দেন।