খবর প্রকাশিত: ২৯ নভেম্বর, ২০২৩, ০৭:৪১ এএম
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বৈশ্বিক রাজনীতিতে এখন বিভক্তি চলছে। একদিকে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমারা, অন্যদিকে রাশিয়া-চীন। পরাশক্তিদের এ মেরুকরণ আরও দীর্ঘায়িত হওয়ার আভাস মিলছে। ফলে চলতি বছরও খাদ্য, জ্বালানি, অর্থনৈতিক সংকটসহ আরও নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে বিশ্বকে।
ভূ-রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান, ভারসাম্য কূটনীতিতে অটল থাকা, দেশের খাদ্য ও জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা সচল রাখা এবং ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চলতি বছর কূটনীতিতে নানা চ্যালেঞ্জ দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, বৈশ্বিক রাজনীতিতে অস্থিরতা চলমান থাকুক, সেটি চায় না বাংলাদেশ। পরিস্থিতি বিবেচনায় পররাষ্ট্রনীতিতে ভারসাম্য বজায় রাখতে চায় সরকার। কোনো পক্ষকে সমর্থন করে অন্য পক্ষের সঙ্গে বিরোধে জড়ানোর ইচ্ছেও নেই ঢাকার। দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে অর্থনৈতিক কূটনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার কৌশল নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বিদেশে বাংলাদেশবিরোধী অপপ্রচার বন্ধে তৎপরতা বজায় রাখবে সরকার।
মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অর্থনৈতিক কূটনীতির বিষয়টি সামনে এনেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধের পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য অর্থনীতি সচল রাখা বড় চ্যালেঞ্জ। সেজন্য অর্থনৈতিক কূটনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার কৌশল নিয়েছে সরকার। এসডিজি অর্জন নিশ্চিত করার বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ। রোহিঙ্গা সমস্যা আছে, জলবায়ু ইস্যু আছে। তাছাড়া বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে যেসব মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য প্রচার হচ্ছে, সেগুলো যেন না হয়; সেটার ওপর বেশ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। কেননা, একটি মহল কিন্তু বিদেশে এসব অপপ্রচারের মাধ্যমে দেশের সম্মান নষ্ট করছে।