সাজঘরের পথ ধরিয়েছিলেন তার উইকেট নিয়ে হ্যাটট্রিক করা প্যাট কামিন্সকেও। মূলত গুলবদিনই ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেন।
কে জানত, সেই ছেলেটার হাত ধরেই একদিন অস্ট্রেলিয়া–বধের গল্প লিখবে আফগানরা, গড়বে ইতিহাস! যার শৈশব কেটেছে পাকিস্তানের শরণার্থীশিবিরে। প্রতিনিয়ত লড়াই করেছেন। পড়ে গেছেন, আবার উঠে দাঁড়িয়েছেন। ২০১৯ বিশ্বকাপে যার অধিনায়কত্ব নিয়ে প্রকাশ্যে বিরোধিতা শুরু করেছিলেন মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খানরা। অধিনায়ক হয়ে সেই রশিদ খান অষ্টম বোলার হিসেবে বল তুলে দিলেন গুলবাদিনের হাতে। দিলেন সেনাপতির আস্থার প্রতিদান। দক্ষ সৈনিকের মতো কুপোকাত করলেন শত্রুশিবির। গড়লেন ইতিহাসও।
এমন জয়ের পর গুলবদিন স্মরণ করেছেন প্রিয় দেশ আফগানিস্তানের কথা। যে দেশটি ছাড়ার সুবর্ণ সুযোগ পেয়েও মাটি কামড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছেন তিনি। গুলবদিন কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এইভাবে, ‘প্রিয় আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই মুহূর্তটির জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম। আমার জন্য এটি দারুণ মুহূর্ত। শুধু আমার জন্য নয়, গোটা জাতির জন্য, আমাদের মানুষের জন্য অনেক বড় মুহূর্ত এটি। দেশের জন্য, আফগান ক্রিকেটের জন্য বড় অর্জন। কিছু বলার ভাষা পাচ্ছি না আমি। তবে সমর্থকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা, যারা সব সময় পাশে থেকেছে। রশিদকে ধন্যবাদ, আমার প্রতি ভরসা রাখার জন্য।’