NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ ১৪ বছরের সূর্যবংশীর দানবীয় সেঞ্চুরিতে দুর্দান্ত জয় রাজস্থানের নির্বিঘ্নে ধর্ম পালনে ‘লাব্বাইক’ অ্যাপ বড় ভূমিকা রাখবে - প্রধান উপদেষ্টা ইউক্রেনে সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা পুতিনের হাসিনাকে ‌‘চুপ’ রাখতে বলেন ড. ইউনূস, মোদী জানান পারবেন না নারী বিবেচনায় জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
Logo
logo

ক্ষমা চাইলেন সিইসি


খবর   প্রকাশিত:  ০২ ডিসেম্বর, ২০২৩, ০৬:৪১ এএম

ক্ষমা চাইলেন সিইসি

ঢাকা: ভোটের মাঠে রাজনৈতিক দলগুলোকে ‘রাইফেল অথবা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়াতে’ বলা বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে ইসলামী ঐক্যজোটের সঙ্গে সংলাপ শেষে তলোয়ার, রাইফেল প্রসঙ্গ উঠে আসলে ক্ষমা প্রার্থনা করেন তিনি। কৌতুক করে ওই কথা বলেছেন বলে জানান তিনি। এ সময় সিইসি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন।

রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশে হাবিবুল আউয়াল বলেন, আপনারা মাঠে থাকবেন। মাঠটা নিয়ন্ত্রণ করবেন আপনারা, যারা যারা প্রার্থী থাকবেন। আপনাদের সহযোগিতা ও সমর্থন আমি একান্তভাবে কামনা করছি।

নির্বাচনে অর্থশক্তি ও পেশিশক্তিসহ অস্ত্রশক্তির প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, একটা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। গত পরশু বলেছিলাম, যদি কেউ তলোয়ার নিয়ে আসে আপনারা রাইফেল নিয়ে দাঁড়াবেন। এটা আপনাদের বুঝতে হবে যে, একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এই কথাটা কখনো মিন করে বলতে পারেন না। আমি হয়তো অল্পশিক্ষিত। অল্পশিক্ষিত মানুষ হলেও এ ধরনের কথা বলতে পারে না। ববি হাজ্জাজ নামের এক ভদ্রলোক, ওনার কথার পিঠে আমি হেসে বললাম, তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ালে আপনি একটা বন্দুক নিয়ে দাঁড়াবেন।

এটা হচ্ছে কথার পিঠে কথা, এটা কখনো একজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার মিন করতে পারেন না। আর যদি মিন করতাম তাহলে তো প্রথমদিন থেকেই আমি সবাইকে বলতাম অস্ত্র সংগ্রহ করতে। আপনারা অস্ত্র সংগ্রহ করে নিজেদের শক্তিশালী করুন। এই কথা কিন্তু আমি কখনো বলিনি। আমরা অনেক সময় ইংরেজিতে একটি শব্দ আছে, হিউমার অর্থাৎ রস বা কৌতুক করে বলি।

তিনি বলেন, এটাকে একেবারে জাতীয় পর্যায়ে অকাট্য সত্য ঐশরিক একটা বাণী হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। মিডিয়াকে আমি খুব সম্মান করি। মিডিয়াকে অবাধ সুযোগ দিয়েছি। আমরা কোনো রাখঢাক করি নাই। আমাদের কথা এবং ছবি দুটোই ওখানে (মিডিয়া) আসে। কেন আমাদের সাংবাদিকরা এটা করলেন, বুঝে নাকি না বুঝে? ওনাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা অক্ষুণ্ন আছে। এটা করে আমার মর্যাদাটাকে একেবারে ক্ষুণ্ন করে দেয়া হয়েছে।

সিইসি বলেন, আপনারা বিশ্বাস করছেন, আমার বাবা বেঁচে থাকলে উনি হয়তো বিশ্বাস করতেন আমার ছেলে এ রকম বাজে পরামর্শ দিলো কেন? আমার মা বেঁচে থাকলে বিশ্বাস করতেন, বলতেন বাবা এত খারাপ পরামর্শ দিলে কেন? কারণ, তারা পেপার পড়তেন। আমি এজন্য বলব কখনো কখনো আমরা ভুল করে থাকি। আমি হিউমার করতে গিয়েছিলাম, এটা রস। এটাকে যদি ওইভাবে প্রচার না করে বস্তুনিষ্ঠভাবে প্রচার করা যেতো যে, উনি (আমি) হিউমার করে বলেছেন। কারণ আমার ভাই এটা বিশ্বাস করেছেন, বলেছেন আমি যেন এ রকম কথা না বলি। আমি কিন্তু আপনাদের অস্ত্র নিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলতাম না, সেটা আমি মিন করি নাই। আমাকে ক্ষমা করবেন। ক্ষমা করবেন।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকের শুরুর দিনে রোববার (১৭ জুলাই) জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক দলের (এনডিএম) সঙ্গে সংলাপের সময় ‘তলোয়ারের বিপরীতে রাইফেল নিয়ে দাঁড়ানো’র পরামর্শ দিলেও ওইদিন বিকেলে বাংলাদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে সংলাপে ‘তলোয়ার-রাইফেল নিয়ে যুদ্ধ না করা’র পরামর্শ দেন তিনি। বাংলাদেশ কংগ্রেসের সঙ্গে সংলাপে এমন পরামর্শ দেন তিনি।

এনডিএমের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে সিইসি বলেন, ভোটের মাঠে নিয়ম লঙ্ঘন করে কেউ যদি তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ায়, তাহলে প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলগুলোকেও রাইফেল অথবা তলোয়ার নিয়ে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেবো।