প্রতারণার অভিযোগে চীনের বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল হংকংয়ের স্বাধীনতাপন্থি মিডিয়া টাইকুন জিমি লাইকে প্রায় ছয় বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, জিমি লাইয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি নিজের অফিসের জায়গা অবৈধভাবে আরেকজনের কাছে ভাড়া দিয়েছিলেন। এ কারণে পাঁচ বছরের বেশি সময় জেল দেওয়া হয়েছে তাকে।
অবশ্য তার এ কারাদণ্ডকে রাজনৈতিক রায় হিসেবে দেখছেন সমালোচনাকারীরা। কারণ হংকংয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একজন মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেন তিনি।
৭৫ বছর বয়সী ধনকুবের জিমি গত বছর চীন সরকারের নিষিদ্ধ তিয়েনআনমেন মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৮৯ সালে তিয়েনআনমেন স্কয়ারে বিক্ষোভে নিহতদের স্মরণে এ মিছিলটি করা হয়। এ ঘটনার পর তাকে আটক করে ১৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ওই সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরই আরেক মামলায় কারাদণ্ড দেওয়া হলো তাকে।
জিমি লাই হংকং ছাড়াও যুক্তরাজ্যের নাগরিক। জিমির ছেলে সেবাস্তিয়ান লাইয়ের অভিযোগ, তার বাবা ব্রিটিশ নাগরিক হলেও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সহায়তা পাচ্ছেন না তিনি। অথচ মানবাধিকারের পক্ষে দাঁড়ানোয় ‘ইতোমধ্যেই মিথ্যা সাজা খাটতে খেয়েছে।’
অবশ্য জিমি লাইয়ের জন্য এ সাজাই শেষ না। তার বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তার লঙ্ঘনের অভিযোগে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এটি প্রমাণিত হলে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হবে। যদিও বর্তমানে এই মামলার বিচারকার্যক্রম বন্ধ আছে।
বিক্ষোভকারীদের সহজে দমন করতে হংকং শহরে জাতীয় নিরাপত্তা আইন জারি করে চীন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বিরোধী মতাদর্শীদের এই কথিত আইন ব্যবহার করে থামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।