গেল সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে যেভাবে ভলোদিমির জেলেনস্কিকে দেখা গিয়েছিল, তাতে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। বৈঠক চলাকালে ট্রাম্প-জেলেনস্কির উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নীতিকে ইঙ্গিত করে। যদিও ইউক্রেনের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা।
ঋণনীতি শিথিল করে প্রতিরক্ষা খাতে আরো অর্থ বরাদ্দের পাশাপাশি ইউক্রেনকে সহায়তার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইইউ রাষ্ট্রগুলো।
পশ্চিম ইউরোপের অধিকাংশ দেশই গত তিন বছর ধরে রাশিয়ার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ধারাবাহিকভাবে ইউক্রেনকে সামরিক সাহায্য করে এসেছে।
ট্রাম্প হাত গুটিয়ে নেওয়ার কথা জানানোর পর সেই সহায়তায় আরো গতি আনতে চাইছে ইইউ। বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বৈঠকের পর ইইউভুক্ত ২৭টি রাষ্ট্র যৌথ ঘোষণাপত্র প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, ইউরোপের নিরাপত্তা জোরদার করতে ইইউ সদস্যরা মিলে ১৫ হাজার কোটি ইউরো ঋণ নেবে।
বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে আয়োজিত বৈঠকের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ তাঁদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন, ‘ইউক্রেনে যা হয়েছে, তার প্রেক্ষিতে ইউরোপের প্রতিরক্ষা বাড়াতেই হবে।’
জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ বলেন, ‘পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝেই ইইউ ঋণ নেওয়ার নিয়ম শিথিল করে প্রতিরক্ষা খাতে খরচ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কোস্তা বলেন, ‘আমরা যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেটাই পালন করছি। আমরা আমাদের নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই।’