জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবা তার দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে আগাম নির্বাচনে হেরে যাওয়া সত্ত্বেও সোমবার পদ আঁকড়ে ধরে রাখার অঙ্গীকার করেছেন। টোকিও থেকে এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় ভোটাররা এক সময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টিকে ‘উচিত শিক্ষা’ দিয়েছে। রবিবার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইশিবার (৬৭) লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ করেছে।
ইতিমধ্যে নির্বাচনী ফল প্রকাশের পর দেখা গেছে, এলডিপির জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ইশিবা প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘রাজনৈতিক শূন্যতা’ এড়াতে তিনি কিছুতেই পদ ছাড়বেন না।
ইশিবা সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি দেশ ও দেশের জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে দায়িত্ব পালন করে যেতে চাই।’
তিনি আরো বলেছেন, নির্বাচনে দলের ভরাডুবির পেছনে আর্থিক কেলেঙ্কারি নিয়ে ‘মানুষের সন্দেহ, অবিশ্বাস ও রাগ’ নিয়ামক হিসেবে কাজ করেছে।
এলডিপির বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনুষ্ঠান থেকে পাওয়া তহবিল তছরুপের অভিযোগ এসেছে। এসব কারণে ইশিবার পূর্বসুরি ফুমিও কিশিদা পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।
ভোটাররা দলকে কড়া শাস্তি দিয়েছে ইশিবা বলেন, ‘আমি অর্থ ও রাজনীতিতে মৌলিক সংস্কার করব।’
এদিকে জাতীয় সংবাদমাধ্যম এনএইচকে ও অন্যান্য গণমাধ্যম জানিয়েছে, বুথফেরত জরিপের ফল এলডিপি ও জোটের ক্ষুদ্র শরিক কোমেইতোর জন্য ১৫ বছরের মধ্যে এতটা খারাপ ফল আর হয়নি। এর মুখ্য কারণ হিসেবে গত তিন মাসে ডলারের বিপরীতে ইয়েনের সর্বোচ্চ পতন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষে এলডিপি ও কোমেই জোট পেয়েছে ২০৮টি আসন। অন্যদিকে বিরোধী দলগুলোর সম্মিলিত আসন সংখ্যা ২৩৫।