২০২৪ সালের প্রথম ৯ মাসে মোট ৩৯ হাজার ৭২৭টি প্রথম রেসিডেন্স পারমিট ইস্যু করেছে রুমানিয়া কর্তৃপক্ষ। দেশটির অভিবাসন দপ্তরের জনসংযোগ বিভাগ ইনফোমাইগ্রেন্টসকে এ তথ্য জানিয়েছে।

রুমানিয়ার জেনারেল ইনস্পেক্টরেট ফর ইমিগ্রেশন (আইজিআই) সম্প্রতি এক ই-মেইলে সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৩৯ হাজার ৭২৭টি প্রথম রেসিডেন্স পারমিট ইস্যু করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি মূলত কাজের ভিসা, উচ্চশিক্ষা কিংবা পারিবারিক পুনর্মিলন ভিসায় রুমানিয়া এসে প্রথম রেসিডেন্স পারমিট পেতে আবেদন করেছিলেন।

 

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোসহ বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ ও উচ্চশিক্ষার জন্য রুমানিয়ায় যাওয়ার হার উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় বৃদ্ধি পেয়েছে।  

শীর্ষে দক্ষিণ এশিয়া
আইজিআই জানিয়েছে, প্রথম রেসিডেন্স কার্ড পাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে শীর্ষে আছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ নেপাল থেকে যাওয়া অভিবাসীরা। চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৬১৫ জন নেপালি নাগরিক রেসিডেন্স কার্ড পেয়েছে। চার হাজার ৯১৬টি কার্ড পেয়েছে শ্রীলঙ্কা থেকে যাওয়া অভিবাসীরা।

বাংলাদেশি অভিবাসীরা আছে তালিকার তৃতীয় অবস্থানে। এ দেশের নাগরিকদের জন্য তিন হাজার ৫৫২টি রেসিডেন্স পারমিট ইস্যু হয়েছে। 

 

এ ছাড়া মলদোভার নাগরিকরা পেয়েছে দুই হাজার ৭১৩টি রেসিডেন্স পারমিট। তুরস্ক থেকে যাওয়া অভিবাসীরা পেয়েছে দুই হাজার ৬৬৫টি বসবাসের অনুমতিপত্র।

দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ ভারতের নাগরিকরা পেয়েছে দুই হাজার ২৮৮টি রেসিডেন্স পারমিট। পাকিস্তানের নাগরিকরা পেয়েছে এক হাজার ৪৬টি কার্ড। মিসরীয়রা এক হাজার ১৮টি, চীনারা এক হাজার ৮৪টি, মরক্কোর নাগরিকরা ৮৩৩টি এবং অন্যান্য দেশের নাগরিকরা পেয়েছে ৯ হাজার ৭৯৭টি প্রথম রেসিডেন্স পারমিট। 

 

২০২৪ সালের ৩১ মার্চ থেকে ইউরোপের অবাধ চলাচলের শেঙেন জোনে আংশিক অন্তর্ভুক্ত হয়েছে রুমানিয়ার৷ এর ফলে শেঙেন প্রবিধান মেনে চলতে আগের বছরগুলোর ধারাবাহিকতায় অনিয়মিত অভিবাসনবিরোধী অভিযান অব্যাহত রেখেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে শ্রম ঘাটতি মেটাতে রুমানিয়ায় স্থাপিত বড় কম্পানিগুলো বিদেশি নাগরিকদের ওপর নির্ভর করছে।

পাশাপাশি শেঙেন জোনে প্রবেশ করায় বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরাও উচ্চশিক্ষার দেশটিতে যাওয়ার হার বাড়িয়েছে।