সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিক আড়াই বছর পর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বললেন। এই দুই নেতার মধ্যে রবিবার ফোনালাপ হয়। অন্যদিকে আগামী সপ্তাহে ব্রিকস সম্মেলনে অংশগ্রহণ নিয়ে ভুসিকের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছে মস্কো।
সার্বিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য পদপ্রার্থী।
ফোনালাপের পর ভুসিক এক ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘বিশেষভাবে আমি প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে মস্কোর বাহিনী ইউক্রেনে আক্রমণ চালানোর সময় সার্বিয়া সম্পূর্ণরূপে রাশিয়ার গ্যাসের ওপর নির্ভরশীল ছিল। তার পর থেকে অনেক ইইউ দেশের মতো সার্বিয়াও বিকল্প সরবরাহ উৎস খুঁজতে কাজ করছে। তবে এখনো আংশিকভাবে মস্কোর ওপর নির্ভরশীল তারা।
অন্যদিকে ক্রেমলিন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, দুই নেতা দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বর্তমান পর্যায় নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন, যা ‘আধ্যাত্মিক, সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক মিলের’ ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছে। ইউক্রেনের পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়েছে। ভ্লাদিমির পুতিন বিশেষ সামরিক অভিযানের অগ্রগতি সম্পর্কে তার মূল্যায়ন প্রদান করেছেন। দুই নেতা ভবিষ্যতেও যোগাযোগ বজায় রাখার ব্যাপারে একমত হয়েছেন।
২০২২ সালের মে মাসের পর পুতিনের সঙ্গে প্রথম সরাসরি আলোচনায় ভুসিক পুনরায় জানান, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ না করার অবস্থান সার্বিয়া বদলাবে না।
এদিকে ভুসিককে ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত কাজানে অনুষ্ঠিতব্য ব্রিকস সম্মেলনে অংশ নেওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পুতিন। তবে রাশিয়া এখনো আমন্ত্রণের জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে। সোমবারের মধ্যে এই সফর নিয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করবেন জানিয়ে ভুসিক এর আগে বলেছিলেন, ‘যদি আমি বলি কাজানে যাচ্ছি, তাহলে এটি সার্বিয়ার ইউরোপীয় পথের সমাপ্তি বোঝাবে। আর অন্য কিছু বললে তারা বলবে, আমি রুশদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছি।’
দুই নেতার মধ্যে ফোনালাপের আনুষ্ঠানিক উপলক্ষ ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান দখলদারিত্ব থেকে বেলগ্রেড মুক্তির ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন।
সূত্র : এএফপি