লেবাননের বৈরুত শহরতলির একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় গতকালের ইসরায়েলি বিমান হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩১ জনে দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে তিনজন শিশুও রয়েছে। লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে। 

হিজবুল্লাহ নিশ্চিত করেছে যে তাদের সিনিয়র কমান্ডার ইব্রাহিম আকিল ও আহমেদ ওয়াহবিও এ হামলায় নিহত হয়েছেন।

 

এ ঘটনায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, হামলাটি হিজবুল্লাহর ওপর লক্ষ্য করে করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ইরান-সমর্থিত এই গোষ্ঠীর সদস্যরা ছিল।

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ভলকা তুর্ক নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে বলেছেন, লেবাননে এই সপ্তাহে পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে ৩৭ জন নিহত হয়েছে। এটি আন্তার্জাতিক মানবিক আইন লঙ্ঘন করেছে।

 

বিবিসির তথ্য মতে, প্রায় এক বছর ধরে ইরান সমর্থিত লেবাননের শিয়া আন্দোলন হিজবুল্লাহ ইজরায়েলের সঙ্গে ছোট ছোট সংঘর্ষে লিপ্ত হয়েছে। কিন্তু এই সপ্তাহের হামলাগুলো সর্বাত্মক যুদ্ধের আশঙ্কাকে বাড়িয়ে দিচ্ছে।

হিজবুল্লাহর নেতা হাসান নাসরাল্লাহ বলেছেন, দলটি বড় ধরনের সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুত, তবে তিনি বারবার ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তারা একটি পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধে জড়াতে আগ্রহী নয়।

এই সপ্তাহের পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে কয়েক ডজন নিহত এবং হাজার হাজার আহত হয়েছে।

যাদের বেশির ভাগই চোখ, মুখ ও হাতে গুরুতর আঘাত পেয়েছে। এরই মধ্যে শুক্রবারের ইসরায়েলি হামলা একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় আঘাত হানে এবং একটি আবাসিক ভবন ধ্বংস করে।

 

তবে হিজবুল্লাহর কাছে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের প্রতিশোধ নেওয়ার খুব বেশি বিকল্প নেই। তাদের সমর্থক ইরানও বৃহত্তর সংঘর্ষের প্রয়োজন মনে করছে না। কারণ হিজবুল্লাহ ইরানের প্রতিরোধ নীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং ইসরায়েলের সীমান্তে একটি শক্তিশালী হিজবুল্লাহ থাকা ইরানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

 

অন্যদিকে ইসরায়েল ইঙ্গিত দিয়েছে যে এই সাম্প্রতিক ঘটনাগুলো সংঘাতের নতুন পর্যায়ের শুরু মাত্র।