লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শক্ত ঘাঁটিতে বৃহস্পতিবার বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল ও বৈরুতের শহরতলিজুড়ে দুই দফায় পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণে ৩৭ জনের মৃত্যুর পর এই হামলায় নতুন করে চাপের মুখে পড়েছে হিজবুল্লাহ।
অবশ্য সুপারমার্কেট, রাস্তা ও শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে হিজবুল্লাহর সদস্যদের ব্যবহৃত পেজার ও ওয়াকিটকি বিস্ফোরণের ব্যাপারে ইসরায়েল কোনো মন্তব্য করেনি। কিন্তু নজিরবিহীন হামলা চালানোর জন্য ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীটি ইসরায়েলকে অভিযুক্ত করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বৃহস্পতিবার দক্ষিণ লেবাননে হিজবুল্লাহর শক্তিশালী এলাকায় রাতভর ছয়টি অবকাঠামো এবং একটি অস্ত্রভাণ্ডারে হামলা চালানোর কথা জানিয়েছে। লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সিও দক্ষিণের বেশ কয়েকটি শহরে ইসরায়েলি হামলা ও গোলাবর্ষণের খবর দিয়েছে।
লেবাননে পেজার বিস্ফোরণের ঘটনার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বুধবার বলেছিলেন, যুদ্ধের নতুন পর্ব শুরু করেছে তার দেশ।
লেবাননে বিস্ফোরণের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। তিনি সব পক্ষকে ‘সর্বোচ্চ সংযম’ প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছেন।
এদিকে গাজায় ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে ১১ মাস ধরে চলমান আন্ত সীমান্ত যুদ্ধের কারণে সর্বাত্মক সংঘাতের আশঙ্কা এরই মধ্যে বাড়ছে। হিজবুল্লাহ হলো ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের মিত্র।
লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবদুল্লাহ বাউ হাবিব বলেছেন, লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তার ওপর নির্লজ্জ হামলা একটি বিপজ্জনক ঘটনা, যা বৃহত্তর যুদ্ধের ইঙ্গিত দিতে পারে। এ ছাড়া দেশটির প্রধানমন্ত্রী নাজিব মিকাতি ইসরায়েলের ‘প্রযুক্তিগত যুদ্ধের’ বিরোধিতার জন্য জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।