ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রবিবার ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছেন। এর আগে একই দিনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীটি ইসরায়েলের মধ্যাঞ্চলে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার দায় স্বীকার করে।

নেতানিয়াহুর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতিতে অনুসারে, মন্ত্রিসভার বৈঠকের শুরুতে এদিন তিনি বলেন, ‘আজ সকালে হুতিরা ইয়েমেন থেকে আমাদের অঞ্চলে সারফেস টু সারফেস ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। তারা এতক্ষণে পর্যন্ত জেনে থাকার কথা, আমাদের ক্ষতি করার যেকোনো চেষ্টার জন্য আমরা উচ্চ মূল্য নিয়ে থাকি।

 

এর আগে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, ইয়েমেন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রটি একটি খালি জায়গায় পড়েছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি। ঘটনার পর এএফপি ফটোগ্রাফাররা লোদ এলাকার কাছে দমকলকর্মীদের ঝোপঝাড়ে আগুন নেভাতে দেখেছেন এবং মোদিন এলাকার একটি ট্রেন স্টেশনে ভাঙা কাচ লক্ষ্য করেছেন। জায়গাগুলো ইসরায়েলের বাণিজ্যিক কেন্দ্র তেল আবিব থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত।

এ ছাড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত করার আগে সাইরেন বাজানো হয়েছিল। এ সময় আশ্রয়স্থলে যাওয়ার পথে বেশ কয়েকজন সামান্য আহত হয়েছে বলে একটি প্যারামেডিক সার্ভিস জানিয়েছিল।

 
 

ইয়েমেনের লোহিত সাগরের একটি শহরের নাম উল্লেখ করে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এ বিষয়ে মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন মনে করে, তাদের হোদেইদা বন্দরে যেতে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।’

গত জুলাইয়ে হুতিরা তেল আবিবে ড্রোন হামলা চালালে একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার পর ইসরায়েল হোদেইদা শহরটিতে যুদ্ধবিমান দিয়ে বোমা হামলা চালিয়েছিল।

হুতিরা ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে অন্যতম, যারা ৭ অক্টোবর হামাসের দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলার পর থেকে সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।

 

ইসরায়েলের উত্তরের সীমান্তে লেবাননের হিজবুল্লাহ আন্দোলন নিয়মিত ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সীমান্তের উভয় পাশে সংঘর্ষে জড়াচ্ছে, যা পুরোপুরি যুদ্ধে পরিণত হওয়ার হুমকি দিচ্ছে। লেবানন থেকে রবিবার সকালেও প্রায় ৪০টি ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের ভূখণ্ড লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে। ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তের উভয় পাশে হাজার হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি টেকসই হবে না বলে নেতানিয়াহু রবিবার মন্তব্য করেছেন।

 

নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘বিদ্যমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে না। আমাদের বাসিন্দাদের নিরাপদে তাদের ঘরে ফেরানোর জন্য যা কিছু প্রয়োজন তা আমরা করব। আমরা ইরানের অশুভ অক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষেত্রে যুদ্ধ করছি, যারা আমাদের ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।’