জার্মানির দলীয় রাজনীতি এতকাল যথেষ্ট তর্ক-বিতর্ক ও সংঘাতের মুখ দেখলেও সহিংসতার কবল থেকে সার্বিকভাবে মুক্ত ছিল। কিন্তু কয়েকটি সাম্প্রতিক ঘটনা জার্মান রাজনীতিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে আগামী জুন মাসে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় প্রার্থী ও নেতারা অভূতপূর্ব আক্রোশের শিকার হওয়ায় দেশজুড়ে বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার রাতে পূর্বের ড্রেসডেন শহরে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিদায়ী প্রতিনিধি মাটিয়াস একের ওপর নৃশংস হামলার পর দল-মত-নির্বিশেষে নিন্দার ঝড় দেখা যাচ্ছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজের এসপিডি দলের নেতা মাটিয়াস একে শুক্রবার রাতে নির্বাচনি পোস্টার লাগানোর সময়ে চার অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তার ওপর হামলা চালায়। চরম আহত অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর অস্ত্রোপচার করাতে হয়।
এদিকে স্থানীয় সময় রবিবার ভোরে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, হামলার কথা স্বীকার করলেও সে এর কারণ সম্পর্কে এখনো কিছু বলেনি।
গত দুই সপ্তাহে জার্মানিতে রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর হামলা বা তাঁদের বিরুদ্ধে বৈরি আচরণের একাধিক ঘটনা ঘটেছে।
জার্মানির এসপিডি দলের নেতা সাসকিয়া এসকেন শুক্রবারের ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন হিসেবে গণ্য না করার পক্ষে যুক্তি দিয়েছেন। তাঁর মতে, কোনো শূন্যতার মাঝে এমন সহিংসতার ইচ্ছা জন্মায়নি। তিনি বিশেষ করে গণতন্ত্রের প্রতি চরম দক্ষিণপন্থী দল ও সেই শিবিরের কট্টরপন্থীদের ঘৃণাকে এমন পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেন। সাংবিধানিক রাষ্ট্র হিসেবে তিনি এই প্রবণতার বিরুদ্ধে সংগ্রামের অঙ্গীকার করেন। সমাজ ও রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্বের কথাও মনে করিয়ে দেন তিনি।