২০২৩ সালের এপ্রিলে সুদানে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আগেও দেশটির এক-তৃতীয়াংশ মানুষ ক্ষুধার্ত থাকতো। এখন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি বুধবার সতর্ক করে বলেছে, সুদানে যুদ্ধের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষুধা ও খাদ্য সংকটের ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। প্রায় ১১ মাস ধরে যুদ্ধ চলছে সুদানে। সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহান এবং তার সাবেক ডেপুটি মোহাম্মদ হামদান দাগলোর মধ্যে যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
সুদানে এই যুদ্ধের শুরু গত ১৫ এপ্রিল। ক্ষমতার দখল নিয়ে ২ বাহিনীর মধ্যে সশস্ত্র সংঘাতের শুরু হয়। একদিকে সেনাবাহিনী (এসএএফ), অন্যদিকে আধা সামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)।
দুই জেনারেলের যুদ্ধে দেশটিকে ইতোমধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম বাস্তুচ্যুতি সংকটে পরিণত করেছে।
তিনি সুদানের বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চলের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘বিশ বছর আগে দারফুর ছিল বিশ্বের বৃহত্তম ক্ষুধা সংকট এবং এইজন্য বিশ্বের সাড়া জাগাতে সমাবেশও করেছিল। কিন্তু আজ সুদানের মানুষ সবকিছু ভুলে গেছে।’
আরএসএফ নিজেরাই জানজাউইদ মিলিশিয়ার বংশধর। যাকে সাবেক স্বৈরশাসক ওমর আল-বশির ২০০০ সালের গোড়ার দিকে দারফুরে জাতিগত সংখ্যালঘু বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করেছিলেন।
বিশ্ব খাদ্য কর্মসুচি বর্তমানে ক্ষুধার সম্মুখীন হওয়া ৯০ শতাংশের কাছে প্রবেশ করতে পারছে না। সুদানের জনসংখ্যার মাত্র পাঁচ শতাংশ প্রতিদিন এক বেলা খেতে পায়। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থা বলেছে, ‘সুদান থেকে পালিয়ে গিয়ে যে ৬ লক্ষ মানুষ দক্ষিণ সুদানের জনাকীর্ণ ট্রানজিট ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে সেখানে পরিবারগুলো ক্ষুধার্ত অবস্থা থেকে আরো মারাত্বক ক্ষুধায় ভুগছে।’ তারা আরো জানিয়েছে, সীমান্ত অতিক্রমকারী প্রতি পাঁচজনের মধ্যে একজন শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। সুদান জুড়ে ১৮ মিলিয়ন মানুষ তীব্র খাদ্য নিরাপত্তার সম্মুখীন হচ্ছে।