জমকালো আয়োজনে শুরু হয়েছে আইপিএলের ১৬তম আসর। অর্থব্ত্তি আর জৌলুসে ভরা এই আসর শুরু হওয়া মানেই পাল্টাপাল্টি কথার তোপ। এবারও সেটি শুরু হয়ে গেছে। তবে চলমান আসরে প্রথম কামান দাগিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক বিশ্বজয়ী অধিনায়ক ও পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার দাবি, বিপুল অর্থের জোরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড অহংকারী হয়ে উঠেছে।

বিশ্বের সেরা সেরা ক্রিকেটাররা এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন। তবে সেখানে নেই কোনো পাকিস্তানি খেলোয়াড়। ২০০৮ সালে আইপিএলের উদ্বোধনী আসরে পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা অংশ নিয়েছিলেন। এরপরই বদলে যায় পরিস্থিতি। মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার জেরে দু’দেশের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে। সেই রাজনৈতিক মহারণ ছড়িয়ে যায় দু’দেশের ক্রিকেটেও। যার ধারাবাহিকতায় পাকিস্তানি তারকাদের ওপর জারি হয় নিষেধাজ্ঞা। যা এখনও চলছে।

সেই ইস্যুকে সামনে এনেই ক্ষোভ জানিয়েছেন ইমরান খান। টাইমস রেডিওকে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেট বিশ্বে পরাশক্তি হিসেবে ভারত এখন যেভাবে আচরণ করে, তাতে মনে হয় তাদের মধ্যে অনেক দাম্ভিকতা রয়েছে। টাকা আছে বলে তারা অহংকারীর মতো আচরণ করছে। অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় ভারতের সম্পদ অনেক বেশি। আমি মনে করি, তারা এখন একটি সুপার পাওয়ারের মতো আচরণ করছে। কারা তাদের বিরুদ্ধে খেলবে এবং কারা খেলবে না সেটা নিজেরাই নির্দেশ করে।’

dhakapost
সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক ইমরান খান

১৯৯২ বিশ্বজয়ী এই পাকিস্তানি অধিনায়ক বলেন, ‘তারা পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে যা (আইপিএলে খেলার অনুমতি না দেওয়া) করেছে, তা ভাবলেই আমার অবাক লাগে। এটা ওদের অহংকারের প্রতিফলন। ভারত যদি পাক ক্রিকেটারদের আইপিএলে অনুমতি না দেয়, তাহলে দেবে না। পাক ক্রিকেটারদের তাতে কোনো মাথাব্যথার কারণ নেই। আমাদের কাছে এমনিতেই প্রতিভাবান তরুণ ক্রিকেটার রয়েছে।’

আইপিএলের প্রথম আসরটিই শেষবারের সুযোগ ছিল পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের জন্য। সে বার লিগটিতে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব আখতার, শোয়েব মালিক, সোহেল তানভির, মোহাম্মদ হাফিজ, সালমান বাট, মোহাম্মদ আসিফ, মিসবাহ উল হক, কামরান আকমল, ইউনিস খান ও উমর গুলরা। একমাত্র সুযোগেই সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক কামরান আকমল এবং উইকেট শিকারি হন সোহেল তানভির।

চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে এশিয়া কাপের আয়োজন করবে পাকিস্তান। কিন্তু টুর্নামেন্ট দুটিতে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত-পাকিস্তানের অংশগ্রহণ নিয়ে বেশ বড়সড় জট তৈরি হয়েছে। ভারত প্রথমে জানিয়েছিল, এশিয়া কাপ পাকিস্তানে হলে তারা সেখানে খেলবে না। যার জবাবও কড়াভাবেই দিয়েছিল পাকিস্তানিরা। এশিয়া কাপ খেলতে না গেলে তারাও ভারত বিশ্বকাপে না যাওয়ার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ভারত জানায় তারা এশিয়া কাপে অংশ নেবে। তবে তাদের ম্যাচগুলো আরব আমিরাত কিংবা নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যুতে আয়োজনের ‘হাইব্রিড মডেল’-এর প্রস্তাব দেয় ভারত।