২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে জার্মানির বিপক্ষে ৭-১ গোলে হেরে বাদ পড়ে ব্রাজিল। আর সম্প্রতি ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে লিভারপুল। এক এক করে রেড ডেভিলদের জালে ৭ বার বল জড়িয়েছে অল রেডরা। বড় দলগুলোর এমন বিব্রতকর হারের পর এবার টনক নড়েছে ফিফার। এ ধরনের ম্যাচের ক্ষেত্রে নতুন নিয়ম চালু করতে চায় আন্তর্জাতিক ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। 

সেই নিয়ম অনুযায়ী, ৯০ মিনিটের খেলায় একের পর এক গোলে বিধ্বস্ত হওয়া দলটি ‘ক্ষমা নীতি’র আওতায় পড়বে। উত্তর আমেরিকার বয়সভিত্তিক বেসবল, সফটবলে ‘মার্সি রুল’র প্রচলন আছে। তবে এখন পর্যন্ত সিনিয়র পর্যায়ের পেশাদার ফুটবলে এ ধরনের আইন নেই।

ফুটবলের আইন প্রণয়নের দায়িত্বে থাকা ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফএবি) বৃহস্পতিবার ফুটবল ম্যাচে কার্যকর সময় নিয়ে একটি কনফারেন্সের আয়োজন করে। ফিফার রেফারিং প্রধান পিয়েরলুইজি কলিনা সেখানে ভবিষ্যতে আইন বদলানোর ইঙ্গিত দেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা এমন একটা নিয়ম দেখতে পারি, যেখানে দুই দলের মধ্যে ব্যবধান অনেক বড় হয়ে গেলে যোগ করা সময় দেওয়া হবে না। সেটা হবে আইনের মাধ্যমেই।’

২০১৪ বিশ্বকাপের ব্রাজিল-জার্মানি সেমিফাইনালে নব্বই মিনিটের পর যোগ করা সময় ছিল ২ মিনিট। আর গত সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে লিভারপুল–ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ম্যাচে যোগ করা সময় দেওয়া হয় ৩ মিনিট।

তবে এ ধরনের কোনো নিয়ম চালুর আগপর্যন্ত নষ্ট হওয়া সময় সঠিকভাবে পুষিয়ে নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন কলিনার। প্রিমিয়ার লিগের গত সপ্তাহের দুটি ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনে এই ইতালিয়ান বলেন, ‘গত সপ্তাহে প্রিমিয়ার লিগের ১০ ম্যাচের চারটিতে ১০০ বা এর বেশি মিনিট খেলা হয়েছে। এর বাইরে আরও দুটি ম্যাচে সময় বাড়তে পারত। একটাতে স্কোর ছিল ৭-০ (লিভারপুল-ইউনাইটেড), আরেকটিতে ৪-০ (ব্রাইটন-ওয়েস্ট হাম)। লিভারপুলের ম্যাচটিতে দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিট যোগ করা হয়েছিল। অথচ ওই অর্ধে গোল হয়েছিল ৬টি।’