তৃতীয় দিনের ৪ উইকেটে ১৫৮ রান নিয়ে গতকাল ব্যাটিং শুরু করেছিল বাংলাদেশ। ক্রমেই ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিন হয়ে ওঠা উইকেটে প্রথম ঘণ্টা নির্বিঘ্নে কাটিয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত ২৩৪ রানে থেমে যায় বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস। প্রথম ইনিংসের ১৪৯ রানের চেয়ে স্কোর কার্ড একটু ভদস্থ চেহারা পেলেও কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টের আগে আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা। দ্বিতীয় ইনিংসে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮২ রানের ইনিংস খেলা অধিনায়ক নাজমুল হোসেনের কথায়ও ব্যাটারদের নিয়ে ভাবনার বড় হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়ব্যাপারটা ফুটে উঠেছে।

কানপুরে দ্বিতীয় টেস্টের আগে তাই তাঁর চাওয়া, ‘এখান (চেন্নাই টেস্ট) থেকে আমরা গুরুত্বপূর্ণ কিছু শিক্ষা পেয়েছি। আমার মনে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে টপ-অর্ডারের ব্যাটারদের আরো সতর্ক থাকতে হবে। টপ-অর্ডার থেকে স্কোর বোর্ডে আরো রান যোগ করা উচিত। এখানে আমরা এই শিক্ষাটা পেয়েছি।
তবে সব ব্যাটারের মাঝে বিশ্বাস রয়েছে, তারা সামনে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।’

 

ভারতের ৩৭৬ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ৪৭.১ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে। উইকেটে ব্যাটারদের তাই আরো বেশি সময় কাটানোর দিকে মনোযোগী হতে বলেছেন নাজমুল, ‘যেকোনো ব্যাটারের জন্য উইকেটে সময় কাটানো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রথম টেস্টে উইকেটে আমরা যথেষ্ট সময় কাটাতে পারিনি।

দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ওপেনিং থেকে ৬২ রানের একটা জুটি হয়েছিল। পরের টেস্টে এই জিনিসটার দিকে আমাদের নজর থাকবে।’ 

 

প্রথম ইনিংসে মাত্র ৪০ রানে ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ইনিংসের শুরুতে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিংয়ের এই প্রবণতা নতুন নয়। টেস্ট ক্রিকেটে অনেক দিন ধরেই এই সমস্যা সঙ্গী করে পথ চলছে বাংলাদেশ।

এখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা অব্যাহত থাকলেও সুফল মিলছে না। নাজমুলের কথায়ও উঠে এসেছে একই রকম ভাবনার কথা, ‘টপ-অর্ডারের জন্য ভালো করা সব সময় একটা বড় চ্যালেঞ্জ, বিশেষ করে প্রথম ইনিংসে। আমরা সামনে এটার সঙ্গে কিভাবে মানিয়ে নিচ্ছি, এটা গুরুত্বপূর্ণ। যদিও আমরা এটা নিয়ে কাজ করছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সেই ফলটা পাইনি।’

 

পাকিস্তানে ব্যাটিং-বোলিং মিলিয়ে ভিন্ন এক বাংলাদেশকেই দেখা গিয়েছিল। চেন্নাইয়ে বোলারদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ব্যাটারদের দায়িত্ব নিতে না পারাতেই ভারতে আরেকটি বড় হার সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। কানপুরে তাই সব মনোযোগ ব্যাটারদের ঘিরে।