সবশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে আক্রমণভাগে শেখ মোরসালিনকে সঙ্গে নিয়ে দারুণ জুটি গড়ে তুলছিলেন রাকিব হোসেন। প্রতিপক্ষের অর্ধে দুজনই হয়ে উঠেছিলেন আস্থার প্রতীক। তবে চোটের কারণে ফিলিস্তিনের বিপক্ষে দুটি ম্যাচে নেই মোরসালিন। তাই রাকিবের দায়িত্ব বেড়ে গেছে অনেকটা।
জাতীয় দলে ২০২০ সালে অভিষেক হয়েছিল রাকিবের। এরপর প্রথম গোল পেতে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২২তম ম্যাচ পর্যন্ত। তবে পরের ১৩২ ম্যাচে করেছেন চার গোল।
আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১২টায় কুয়েত সিটির জাবের আল আহমাদ আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ফিলিস্তিনের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।
সৌদিতে নিবিড় অনুশীলন শেষে বাংলাদেশ দল এখন কুয়েতে ম্যাচের ছক আঁকতে শুরু করে দিয়েছে। প্রতিপক্ষ নিয়ে মাঠ ও টিম হোটেলে নানা ভাবে কাটাছেঁড়া করা হচ্ছে। রাকিব যেমন বলছিলেন,'কোচ এসব নিয়ে (প্রতিপক্ষের শক্তি-দুর্বলতা) কাজ করছে, আজকেও ভিডিও সেশন ছিল আমাদের। ওদের শক্তির দিকগুলো এবং দুর্বলতা নিয়ে কাজ করেছি। জানি ওরা অনেক শক্তিশালী দল কিন্তু আমরাও জেতার জন্য চেষ্টা করব।'
কুয়েতে অনেক বাঙালীর বসবাস। সেখানে পৌঁছানোর পর বিমানবন্দরেই প্রবাসীদের উষ্ণ অভ্যর্থনায় বেশ সহজ একটি পরিবেশও পেয়েছেন রাকিব-জামাল ভূঁইয়ারা। কুয়েত ফিলিস্তিনের হোম ভেন্যু, তবে ম্যাচে বাংলাদেশও যথেষ্ট সমর্থন পাবে বলে আশা করছেন ফুটবলাররা। রাকিবেরও আশা সেরকমই,'সৌদি ও এখানকার আবহাওয়া প্রায় একই, ঠাণ্ডা। এটা আমাদের অনেক কাজে দিবে। এখানে অনেক প্রবাসী আছে। তাঁরা অনেক আগ্রহী। আশা করি মাঠে এসে আমাদের সমর্থন জানাবে।'