সবরকম চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন। ছয় বোলারের সবাইকে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ব্যবহার করেও ফল পাননি। পাথুম নিশাঙ্কা ও চারিথ আসালাঙ্কার সামনে নখদন্তহীন শরিফুল ইসলামদের পেস, তাইজুল ইসলামদের স্পিন। যখন ব্রেক-থ্রু এনে দেন তাসকিন আহমেদ, ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গেছে।
ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, 'আমরা ভালো শুরু করেছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের থেকে ভালো ব্যাটিং করেছে। আশা করি পরের ম্যাচে আমরা বিশেষ কিছু করব।' ব্যাটারদের দায় দেওয়া নাজমুল টসের সময় বলেছিলেন, 'আমার মনে হয় এখানে ২৮০ থেকে ৩০০ রানের পুঁজি জয়ের জন্য ভালো সংগ্রহ।' ব্যাটারদের নৈপুণ্যে ২৮৬ রান তুলেছিল বাংলাদেশ।
আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতায় দারুণ শুরু করেছিলেন শরিফুল-তাসকিন। নতুন বলের সুবিধা আদায় করে ৪৩ রানে সফরকারীদের ৩ উইকেট তুলে নেন দুই পেসার।
তার আগে ব্যাট হাতে মাইলফলক ছুঁয়েছেন সৌম্য সরকার। ওপেনিংয়ে নেমে ৬৬ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলার পথে বাংলাদেশি হিসেবে দ্রুততম দুই হাজার রানের ক্লাবে প্রবেশ করেন। শাহরিয়ার নাফিস ও লিটন দাসের লেগেছিল ৬৫ ইনিংস, সৌম্যর লাগে ৬৪টি। সৌম্যর কাছে রেকর্ড হারানোর ম্যাচে আবারও বিবর্ণ লিটনের ব্যাট। গত ম্যাচের মতো কালও 'ডাক' মারেন এই ওপেনার। ওয়ানডেতে এটি তার এটি ১৪তম বার। লিটন সর্বশেষ ফিফটি পেয়েছেন ১০ ম্যাচ আগে।
লিটন রানে ফিরতে না পারলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে সৌম্যর সঙ্গে ৭৫ রানের জুটিতে দলকে বড় সংগ্রহের পথে রেখেছিলেন নাজমুল। তবে দুবার জীবন পেয়েও ফিফটির আগে (৪০) থামেন তিনি। গতকাল 'জরুরি' ছিল তাওহিদ হৃদয়ের রান পাওয়া। মাহমুদ উল্লাহ (০), মুশফিকুর রহিম (২৫), মিরাজ (১২) ইনিংস বড় করতে না পারলেও সেই আক্ষেপ ভুলিয়ে দেন তাওহিদ। চারে নেমে একপ্রান্ত ধরে খেলে ফিফটি তুলে নেন তিনি। অষ্টম উইকেট জুটিতে তাসকিনের সঙ্গে ২৩ বলে জুটিতে যোগ করেন ৫৯ রান। যেখনে তাসকিনের সংগ্রহ ১০ বলে ১৮ রান। ৯৬ রানে অপরাজিত থাকেন তাওহিদ। ১০২ বলের ইনিংস সাজান ৩টি চার ও ৫টি ছয়ে। তাতে ৭ উইকেটে দল ২৮৬ রানের পুঁজি পায়। যা জয়ের জন্য পর্যাপ্ত ছিল না।