বেবী নাজনীনের প্রথম পরিচয় তিনি সংগীতশিল্পী, গান দিয়ে দেশজুড়ে পেয়েছেন জনপ্রিয়তা। তবে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নানা বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। স্বাচ্ছন্দ্যে গাইতে পারেননি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কিংবা দেশের মঞ্চে। অগত্যা ২০১৮ সালে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান গায়িকা।

 

ছয় বছর পর রবিবার [১০ নভেম্বর] দেশে ফিরছেন বেবী। মাস খানেক আগেই নিউইয়র্কের একটি অনুষ্ঠানে দেশে ফেরার কথা জানান ‘কাল সারা রাত’ খ্যাত শিল্পী। তখন থেকেই অপেক্ষায় আছেন তাঁর ভক্তরা।

বাংলাদেশ বেতার, চলচ্চিত্র, টেলিভিশন এবং মঞ্চ- সব মাধ্যমেই অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং অসংখ্য শ্রোতার হৃদয়ে প্রভাব বিস্তারকারী এক সঙ্গীতশিল্পী। ‘ব্ল্যাক ডায়মন্ড’ নামে যার খ্যাতি ছড়িয়েছে দেশ ছাড়িয়ে উপমহাদেশ এবং বিদেশেও। আধুনিক বাংলা গানের বাজারে রয়েছে যার সর্বাধিক সংখ্যক একক (৫০টি একক এবং ২০০-এরও বেশি মিশ্র) এবং মিশ্র অ্যালবাম। গান নিয়ে পৃথিবীর বহু দেশে তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে।
এ জন্য বিভিন্ন ভাষার গানই তাকে রপ্ত করতে হয়েছে। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন একাধিকবার। দেশ এবং বিদেশের অনেক সম্মান-সম্মাননার মুকুট পরেছেন বহুবার। আধুনিক গানের বাইরে রবীন্দ্র-নজরুল, লালন, পল্লী, ভাওয়াইয়া গানের উপরও ব্যাপক দখল রয়েছে তার। হিন্দি-উর্দু গান আর গজলেও সমান শক্তিমান এক কণ্ঠ বেবী নাজনীন।
চল্লিশ বছরের সঙ্গীত জীবনে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্টেজে সেসব গুণের স্বাক্ষরও তিনি রেখেছেন। আসলে একজন প্রকৃত শিল্পীকে সব ঘরানার গানেই পারদর্শী হতে হয়। বাংলাদেশের হাতেগোনা যে ক’জন সঙ্গীতশিল্পী গানের বিভিন্ন ধারায় বিচরণ করে মুনশিয়ানা দেখিয়েছেন বেবী নাজনীন তাদের মধ্যে অন্যতম।