যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর যৌথ অংশগ্রহণে ‘অনুশীলন টাইগার লাইটনিং-৪’ সমাপ্ত হয়েছে।
রোববার (১২ মার্চ) রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস সাপোর্ট অপারেশন ট্রেনিং (বিপসট) এ ‘অনুশীলন টাইগার লাইটনিং-৪’-এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ অনুশীলনের সফল সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এদিন আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, বন্ধুপ্রতীম এ দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে পারস্পরিক সমঝোতা ও অপারেশনাল সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বিদ্যমান সৌহার্দকে আরও সুদৃঢ় করাই ছিল এ অনুশীলনের মূল উদ্দেশ্য। অনুশীলনে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যে কোনো প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলায় কার্যকর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়নের কৌশল নির্ধারণে অংশগ্রহণকারীদের পারদর্শী করে তুলতে বাস্তবধর্মী এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়।
সমাপনী বক্তব্যে প্রধান অতিথি বলেন, বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় কার্যকরী অবদান রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিতকরণে সহযোগী বন্ধুপ্রতীম দেশসমূহের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এ উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সবসময়ই ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে কাজ করে আসছে। ‘অনুশীলন টাইগার লাইটনিং’ দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্ক এবং ভবিষ্যৎ সহযোগিতার ক্ষেত্রকে আরও প্রসারিত করতে সহায়ক হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
এ অনুশীলন সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি বিপসট এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ড ও অরেগন ন্যাশনাল গার্ডসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের ডেপুটি চিফ অফ মিশন মিস হেলেন লাফেভ এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল মেজর জেনারেল ক্রিস্টোফার রবার্ট স্মিথ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল্যবান বক্তব্য দেন।
সমাপনী অনুষ্ঠানে কমান্ড্যান্ট বিপসট মেজর জেনারেল আ স ম রিদওয়ানুর রহমান আগত অতিথি এবং অনুশীলনে অংশগ্রহণকারীদের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানে সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা মার্কিন প্যাসিফিক আর্মি কমান্ডের মোট ৭২ জন সেনাসদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।