ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মানুষের সাংবিধানিক স্বীকৃতিসহ একাধিক দাবিতে শোভাযাত্রা করেছে উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম। মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এসব কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে সভাপতির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট প্রভাত টুডু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে আদিবাসী দিবস উপলক্ষে তার দেওয়া বাণীতে আদিবাসীদের নিজস্ব পরিচয়ে সব অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছিলেন। এ উপমহাদেশে যুগের পর যুগ সাঁওতাল, কোল, মুন্ডা তুরীসহ অনেক ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকজন বসবাস করে আসছে। ইংরেজ সরকার, ভারত সরকার, পাকিস্তান সরকার তাদের আদিবাসী হিসেবেই স্বীকার করেছে। তাদের আদিবাসী হিসেবেই পরিচয় করিয়ে নিয়েছে। অথচ বর্তমানে স্বাধীন বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দলগুলো এ সমস্ত আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকার করতে এবং সাংবিধানিকভাবে স্বীকৃতি দিতে অনেকটা পিছপা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ আদিবাসী ফোরাম সরকারের এমন আচরণের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
বিশ্ব আদিবাসী দিবসে বাংলাদেশ সরকারের কাছে সাত দফা দাবি পেশ করে আদিবাসী ফোরাম। দাবিগুলো হলো
১. আদিবাসী শব্দ ব্যবহার না করার নির্দেশনা প্রত্যাহার করতে হবে।
২. আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে হবে।
৩. সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন করতে হবে।
৪. সমতলের আদিবাসীদের পক্ষ থেকে সংসদে প্রতিনিধি নিশ্চিত করতে হবে।
৫. সংখ্যালঘু কমিশন গঠন করতে হবে।
৬. উত্তরবঙ্গের আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিতে হবে।
৭. যত দ্রুত সম্ভব নব নিযুক্ত ভারতের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশে আমন্ত্রণ জানানো এবং সাঁওতালসহ অন্যান্য আদিবাসী প্রতিনিধিদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বনিফাস হেমব্রম, লাল ফিলিমন সরেন, থিওফিল হাসদা, নিকোলাস কিস্কু প্রমুখ।