বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস আজ শনিবার (৩ মে)। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ১৯৯৩ সালে ৩ মে-কে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে। এবারের বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্লোগান, ‘সাহসী নতুন বিশ্বে রিপোর্টিং-স্বাধীন গণমাধ্যমে এআইয়ের প্রভাব’।

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে প্যারিসভিত্তিক সংগঠন রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স, ২০২৫ -এ ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান হয়েছে ১৪৯তম। ২০২৪ সালের মে মাসে প্রকাশিত সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৫তম। এবার ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের প্রতিবেদন অনুযায়ী এ বছর মুক্ত সংবাদমাধ্যমের বিবেচনায় ১০০ নম্বরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৩৩ দশমিক ৭১। যা গত বছর (২০২৪ সালে) ছিল ২৭ দশমিক ৬৪।

 

দিবসটি উপলক্ষে তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম এক বিবৃতিতে বলেন, গণমাধ্যমে সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে এক বছরে ১৬ ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশ।

 

গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগের কথা উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ দেশের সব গণমাধ্যম এখন সরকারের প্রভাবমুক্ত। কোনো গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে সরকারের পক্ষ থেকে টেলিফোন করে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। দেশের গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে সরকার এরই মধ্যে বেশ কিছু উদ্যোগ নিয়েছে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশের ১৬ ধাপ উন্নতি প্রমাণ করে সরকার দেশের গণমাধ্যমকে স্বাধীন ও শক্তিশালী করতে কাজ করছে।

মাহফুজ আলম বলেন, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী অতি শিগগির বেশ কিছু সংস্কার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে।

উপদেষ্টা আশাপ্রকাশ করে বলেন, আগামী বছরে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে বাংলাদেশ আরও কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে। দেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্টদের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে।

 

 

 

দিবসটি উপলক্ষে ইউনেসকো ঢাকা অফিস, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এবং সুইডেন দূতাবাসের যৌথ উদ্যোগে এক বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। ‘ব্রেভ নিউ বাংলাদেশ রিফর্ম রোডম্যাপ ফর প্রেস ফ্রিডম’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ।