পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় দেশের পর্যটন খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী।
তিনি বলেছেন, স্বপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন হওয়ায় দক্ষিণবঙ্গসহ সারাদেশেই পর্যটন খাতে অভূতপূর্ব উন্নতি ঘটবে। দেশের সমুদ্র সৈকত, চা বাগান, রাঙ্গামাটির পথ, প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার মতো সৌন্দর্য পৃথিবীর মানুষের কাছে আকর্ষণ বাড়াবে।
শুক্রবার (২২ জুলাই) বিকেলে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন আয়োজিত প্যাকেজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রাজধানীর আগারগাঁও পর্যটন ভবন প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী বলেন, বাংলাদেশে পর্যটন খাত জিডিপিতে অনেক বড় ভূমিকা পালন করছে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্ষমতাও বাড়ানো হয়েছে।
তিনি বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর ইতোমধ্যে আমরা ২৫ জন অ্যাম্বাসেডর, হাইকমিশনার ও বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের নিয়ে ট্যুর করেছি। তারা প্রত্যেকে চিঠি দিয়ে প্রশংসা করেছেন প্রাচ্যের ভেনিস বরিশাল, ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন দেখে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের ১১তম বড় বাংলাদেশের উন্নয়নের এক অপার বিস্ময়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাঙালি জাতি উপহার পেয়েছে এ সেতু। দেশের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি নতুন করে গৌরবের সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে পদ্মা সেতু ভ্রমণে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। পর্যটকদের আগ্রহের বিষয়টি বিবেচনা করে এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের আয়োজন করছে এ সাশ্রয়ী মূল্যের প্যাকেজ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন বলেন, স্বপ্নের এখন পর্যটন সম্ভাবনার বড় করিডোর। এ সেতু চালুর মাধ্যমে খুলে গেছে পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের দ্বার। ইতোমধ্যে পদ্মা সেতুর দুই পাড়ে এবং দক্ষিণাঞ্চলে পর্যটকদের ঢল নেমেছে। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের এ চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন এ প্যাকেজ ট্যুরের আয়োজন করছে।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. আলি কদর বলেন, গেল ২৫ জুন সেতু উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ২৫ জুন আমরা ৭১ সালের মতোই বিজয় উদযাপন করেছি। পটুয়াখালী, টুঙ্গিপাড়াসহ দক্ষিণবঙ্গের জন্য পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে চাই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ট্যুরিজম রিসোর্ট ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ট্রিয়াব) সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ; ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরায়েশি।