এগিয়ে আসছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ। ঈদ নিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ঈদের ছুটিতে স্বস্তিতে বাড়ি ফিরতে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে।
আবহাওয়াবিদ নাইমা বাতেন স্বাক্ষরিত জিলহজ মাসের চাঁদের স্থানাঙ্ক বিবরণীতে বলা হয়েছে, আগামী ৬ জুন (বৃহস্পতিবার) বাংলাদেশ মান সময় সন্ধ্যা ৬টা ৩৮ মিনিটে অমাবস্যা শেষ হয়ে ১৪৪৫ হিজরি সনের জিলহজ মাসের নতুন চাঁদের জন্ম হবে।
এর পরের দিনে শনিবার (৮ জুন) ৬টা ৪৪.৮ মিনিটে সূর্যাস্তের সময় চাঁদের বয়স হবে ২.০০৪৮ দিন এবং সান্ধ্যকালীন গোধূলি শেষ হওয়ার এক ঘণ্টা ৩৮.১ মিনিট পর চন্দ্রাস্ত হবে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আগামী শুক্রবার (৭ জুন) ঢাকায় চাঁদ দেখার নির্ধারিত সময় সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিট থেকে ৭টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত বলেও জানিয়েছে আবহাওয়াবিদরা।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে জানা গেছে, ঈদুল আজহা উদযাপনের তারিখ নির্ধারণে আগামী শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পর রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে সভায় বসবে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। এতে ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের সভাপতিত্ব করার কথা রয়েছে। সেখানে চাঁদ দেখার সংবাদ পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে ইসলামী শরিয়ত অনুযায়ী, চান্দ্র মাস শুরু হাওয়ার ক্ষেত্রে খালি চোখে চাঁদ দেখার শর্ত রয়েছে।
আগামী শুক্রবার চাঁদ দেখা গেলে শনিবার (৮ জুন) জিলহজ মাস শুরু হবে। এক্ষেত্রে আগামী ১৭ জুন (১০ জিলকদ, সোমবার) দেশে ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে। এক্ষেত্রে জিলকদ মাস ২৯ দিনেই শেষ হবে। শুক্রবার চাঁদ দেখা না গেলে শনিবার জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। তখন জিলহজ মাস শুরু হবে রবিবার (৯ জুন)। সেক্ষেত্রে ১৮ জুন (মঙ্গলবার) দেশে উদযাপিত হবে ঈদুল আজহা।
বাংলাদেশে সাধারণত সৌদি আরব, কাতার, ওমান, আরব আমিরাত এসব দেশের পরের দিন ঈদুল আজহা পালন করা হয়। সেই হিসেবে জুন মাসের ১৭ তারিখ বাংলাদেশে কোরবানির ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে তারিখ পরিবর্তন হতে পারে।