ঢাকা: ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন আজ বুধবার, শুভ জন্মাষ্টমী। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মতে, শ্রীকৃষ্ণ অত্যাচারীর বিরুদ্ধে দুর্বলের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুষ্টের দমন ও শিষ্টের লালন করতেই এ পৃথিবীতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। শান্তিহীন পৃথিবীতে শান্তি আনতেই শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব। দ্বাপর যুগের শেষভাগে ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে মথুরার রাজা কংসের কারাগারে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম।

 

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ পৃথক বাণী দিয়েছেন।

হিন্দু পঞ্জিকা মতে, ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার হয়ে শ্রীকৃষ্ণ এই দিন জন্ম নিয়েছিলেন মাতা দেবকীর গর্ভে। ছোটবেলায় তাঁকে সবাই আদর করে গোপাল বলে ডাকত। তাই হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ঘরে ঘরে এই দিন শ্রীকৃষ্ণ বা গোপাল পূজার আয়োজন করা হয়।

তিনি গোবর্ধন পর্বতকে এক আঙুলে তুলেছিলেন বলে তাঁর আরেক নাম গোবর্ধন। 

 

সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিশ্বাস করেন, কৃষ্ণ ছিলেন স্বয়ং ঈশ্বর। দুষ্টের দমন করে পৃথিবীতে শান্তি ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি মানুষের রূপ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন।

দেশব্যাপী এবার ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় আড়ম্বর-আনুষ্ঠানিকতায় উদযাপন করা হবে মহাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি।

হিন্দু সম্প্রদায় উপবাস, অর্চনা ও কৃষ্ণ নাম কীর্তনসহ বিভিন্ন আচার-উপাচারের মাধ্যমে দিনটি উদযাপন করবে। 

 

আজ সরকারি ছুটির দিন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষকে জন্মাষ্টমী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ। পরিষদের সভাপতি জে এল ভৌমিক ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক চন্দ্রনাথ পোদ্দার এক বিবৃতিতে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য বজায় রেখে উৎসবটি পালনের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

মহানগর সর্বজনীন পূজা উদযাপন কমিটি জন্মাষ্টমী উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

 

 

পূজা উদযাপন কমিটি জানিয়েছে, জন্মাষ্টমীর বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাটি ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, পলাশী বাজার, জগন্নাথ হল, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, হাইকোর্ট, জাতীয় প্রেস ক্লাব, পল্টন, শহীদ নূর হোসেন স্কয়ার, গোলাপ শাহ মাজার, গুলিস্তান মোড়, নবাবপুর রোড, রায় সাহেব বাজার হয়ে পুরান ঢাকার বাহাদুর শাহ পার্কে গিয়ে শেষ হবে।