যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যের গভর্নর পদে ২০২৬ সালের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার কথা বিবেচনা করছেন রিপাবলিকান কংগ্রেসওম্যান এলিস স্টেফানিক। সারাটোগা থেকে নির্বাচিত এই নেত্রী যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে শক্ত অবস্থান গড়ে তুললেও এখন রাজ্য রাজনীতিতে বড় পরিসরে নিজেকে তুলে ধরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
নিউইয়র্ক সাধারণভাবে একটি ‘ডিপ ব্লু’ রাজ্য, অর্থাৎ ডেমোক্রেটদের শক্ত ঘাঁটি। আর স্টেফানিক হলেন ‘ম্যাগা রিপাবলিকান’। তাই এই রাজ্যে গভর্নর নির্বাচনে তার বিজয়ের সম্ভাবনা আপাতদৃষ্টিতে ক্ষীণ মনে হলেও বর্তমান গভর্নর ক্যাথি হোকুলের অজনপ্রিয়তায় রিপাবলিকানরা আশার আলো দেখছে।
সম্প্রতি মারিস্ট ইনস্টিটিউট পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায়, প্রায় ৬০ শতাংশ নিউইয়র্কার চান না গভর্নর হোকুল পুনরায় নির্বাচন করুন। মাত্র ৯ শতাংশ ভোটার মনে করেন তিনি ‘চমৎকার’ কাজ করছেন। রাজ্যজুড়ে তার সম্মিলিত অনুমোদনের হার মাত্র ৩৯ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে ৪০ বছর বয়সী স্টেফানিক রাজ্যের সবচেয়ে পরিচিত রিপাবলিকান নেতা। তার নির্বাচনী ফান্ডে ইতিমধ্যে রয়েছে ১ কোটি ডলার এবং প্রচারণার জন্য রাজ্য পাবলিক ফান্ডিং ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রথম মাসেই তা ৩ কোটিতে পৌঁছাতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তা ছাড়া ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো তিনি আপস্টেট নিউইয়র্কের কর্মজীবী শ্রেণির ভোটারদের মধ্যে প্রভাব রাখতে পারেন, যারা সাধারণত নির্বাচনে রিপাবলিকানদের পক্ষে সক্রিয় থাকেন না।
স্টেফানিক ও হোকুল কেউই ডাউন স্টেট, বিশেষ করে নিউইয়র্ক সিটি ও লং আইল্যান্ড থেকে আসেন না। গত নির্বাচনে লং আইল্যান্ডের লি জেলডিনের বিপুল ভোটের ব্যবধানই হোকুলের জন্য ছিল বড় হুমকি। স্টেফানিক সেই জায়গায় কতটা সফল হবেন, তা এখনো প্রশ্নসাপেক্ষ।
তবে তার সমর্থকেরা মনে করেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ইহুদিবিরোধী বক্তব্যের বিরুদ্ধে তার সোচ্চার ভূমিকা নিউইয়র্কের ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে এবং সামগ্রিকভাবে এক ‘কাজের মানুষ’ ভাবমূর্তি গড়ে তুলেছে।
অন্যদিকে ডেমোক্রেটিক শিবির থেকে অ্যান্ড্রু ক্যুমোর নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হওয়ার সম্ভাবনাও আলোচনায় রয়েছে। তবে ট্রাম্পের সঙ্গে স্টেফানিকের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কই ডেমোক্রেটদের সবচেয়ে বড় প্রচারণার অস্ত্র হয়ে উঠতে পারে। হোকুল ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি ‘একজন চরম ম্যাগা রিপাবলিকান’-এর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন। কিন্তু সমস্যা হলো ভোটারদের কাছে হোকুলের জনপ্রিয়তা খুব একটা বেশি নয়। জরিপ অনুযায়ী, ট্রাম্পের মতো হোকুলও বহু ভোটারের কাছে অজনপ্রিয়।
তিনি বলেন, ‘রাজ্য থেকে জনস্রোত বেরিয়ে যাচ্ছে, জীবনযাত্রার খরচ বেড়েই চলেছে, মানুষ বাঁচার পথ খুঁজছে।’ মারিস্ট জরিপেও উঠে এসেছে, নিউইয়র্কারদের ৩২ শতাংশ আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে অন্য রাজ্যে চলে যেতে চান, প্রধান কারণ উচ্চ খরচ ও জীবনের মানের অবনতি। এই বাস্তবতায় অনেকেই ভাবছেন, স্টেফানিক সত্যিই যদি নিউইয়র্কে লড়েন, তাহলে তার পক্ষে হয়তো জয়লাভ করাও সম্ভব।
নিউইয়র্ক গভর্নর পদে লড়তে পারেন এলিস স্টেফানিক
প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:০৪ এএম



প্রবাস রিলেটেড নিউজ

নিউইয়র্ক সিটি থেকে বাফেলো যাওয়ার পথে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি তরুণ সানি সহ দুইজন নিহত

বাংলাদেশ সোসাইটির ট্রাষ্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান হচ্ছেন শাহ নেওয়াজ!

বাংলাদেশ দূতাবাস ওয়াশিংটন ডিসিতে “Passport DC’s Embassy Tour -2025” অনুষ্ঠিত

নিউইয়র্ক সিটি হলে অটিজম সচেতনতায় বাংলাদেশি শিশুদের নিয়ে ‘ফটো প্রদর্শনী’

যুক্তরাষ্ট্রসহ ৮০ দেশে বাংলাদেশ মিশন, দূতাবাস ও কনস্যুলেটে সেবার নতুন ফি নির্ধারণ

নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী যারা

জেএসএফ সংগঠক হাজী আনোয়ার হোসেন লিটনের বাংলাদেশে সাংগঠনিক তৎপরতা

চাটখিল উপজেলা সোসাইটি ইউএসএ সাধারন সভা অনুষ্ঠিত