অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে নিউইয়র্ক সিটি হলে শুরু হয়েছে একটি ব্যতিক্রমী ফটো প্রদর্শনী। সিটি হলের রোটান্ডায় আয়োজিত এই প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের ছবি ও প্রোফাইল। যেখানে তুলে ধরা হয়েছে বাংলাদেশি ও বাংলাদেশি-আমেরিকান অটিজমে আক্রান্ত শিশুদের জীবন ও ব্যক্তিত্ব।
জানা গেছে, এই প্রদর্শনী মে মাসের শেষ পর্যন্ত নিউইয়র্ক সিটি হলে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। এরপর এটি কোনো বড় জাদুঘরে স্থান পাবে। যাতে আরও বেশি মানুষ এই শিশুদের গল্প জানতে পারেন। প্রদর্শিত প্রতিটি ছবির সঙ্গে জুড়ে আছে শিশুদের গল্প। যা তাদের স্বপ্ন, সংগ্রাম ও সাফল্যের কথা বলে।
প্রদর্শনীর ছবিগুলো তুলেছেন বিশিষ্ট শিল্পী জয়া করিম। তিনি বলেন, এই প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমি বিশ্বকে বলতে চাই অটিজম কোনো সীমাবদ্ধতা নয়। এটি একেকটি শিশুর নিজস্বতা ও সম্ভাবনার প্রতিচ্ছবি। তিনি বলেন, ছবিগুলো শুধু মুখের নয়, মনের ভাষা প্রকাশ করে। এই শিশুদের অনন্যতা ও সৌন্দর্যকে সামনে আনাই ছিল আমার মূল লক্ষ্য। তিনি বলেন, আমরা ছবিগুলোর জন্য মিউজিয়াম পাওয়ার চেষ্টা করছি। তবে এখনও পাই নাই। মিউজিয়াম পেলে প্রদর্শনীর পর ছবিগুলো সেখানে স্থান পাবে।
নিউইয়র্ক সিটির মেয়র এরিক অ্যাডামস প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। তিনি বলেন, এই ছবি ও গল্পগুলো আমাদের অটিজম সম্পর্কে গভীরভাবে ভাবতে শেখায়। প্রতিটি মানুষ, বিশেষ করে শিশুরা সমাজে ভালোবাসা ও সম্মানের সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার রাখে। এ সময় অটিজম সম্পর্কে সকলকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সমাজে এর গ্রহণযোগ্য পরিবেশ গড়ে তোলার পরামর্শ দেন।
প্রসঙ্গত, অটিজম হলো মস্তিষ্কের বিকাশজনিত এক ধরনের ত্রুটি বা বৈকল্য যা শিশু মাতৃগর্ভে থাকাকালীন বহন করে নিয়ে আসে। প্রতিবছরের ২ এপ্রিল পালিত হয় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস। অটিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নের সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে গিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ২০০৭ সালের অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠিত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে ‘বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস’ পালনের যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।