NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, মে ১২, ২০২৫ | ২৯ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
প্রথম সিভিল সার্জন সম্মেলন আজ, উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা তুরস্ক যে কারণে প্রকাশ্যেই ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে সমর্থন করছে জেলেনস্কিকে অবিলম্বে পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে বললেন ট্রাম্প কাশ্মীর হামলা ও ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে নীরাবতা ভাঙলেন অমিতাভ ৭ গোলের থ্রিলার, এমবাপের হ্যাটট্রিকেও বার্সার কাছে হার রিয়ালের দীপ্ত পেলো কিশোরগঞ্জের মিষ্টি, বরিশালের সাকিবকে থানায় ভুক্তভোগীদের সঙ্গে ভিডিওকলে কথা বলবেন ঢাকা রেঞ্জ ডিআইজি সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশে যুক্ত হলো নতুন বিধান ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি: যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকায় ‘গর্বিত’ ট্রাম্প জামিনে মুক্তি পেলেন টাফটস বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থী
Logo
logo

স্থানীয় নির্বাচনে বড় ধাক্কা খাচ্ছে এরদোয়ানের দল


খবর   প্রকাশিত:  ০১ এপ্রিল, ২০২৪, ০৯:১৪ পিএম

স্থানীয় নির্বাচনে বড় ধাক্কা খাচ্ছে এরদোয়ানের দল

তুরস্কের স্থানীয় নির্বাচনে বড় ধরনের ধাক্কা খাচ্ছে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের একে পার্টি। শতভাগ ব্যালট বাক্সের ফলাফলে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শহর ইস্তাম্বুল ও আংকারায় জয় পেয়েছে বিরোধী সিএইচপি।

ইস্তাম্বুলের বর্তমান মেয়র ও বিরোধী নেতা একরেম ইমামোগ্লু পুনর্নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। ভোট গণনা শেষে তেমন আভাসই পাওয়া যাচ্ছে।

 

প্রধান বিরোধী দল সিএইচপি শুধু এই শহরেই নয়, জয় পেয়েছে আংকারা ও দেশটির তৃতীয় বড় শহর ইজমিরেও। রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, অনানুষ্ঠানিক ফলাফলে ৮১টি শহরে সিএইচপি জয় নিশ্চিত করেছে, যা প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলাপমেন্ট পার্টির (একেপি) জন্য বড় ধাক্কা।

একরেম ইমামোগ্লু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে লিখেছেন, ‘আজ আমাদের প্রতিপক্ষ ও প্রেসিডেন্ট—উভয়কেই ইস্তাম্বুলের এক কোটি ৬০ লাখ নাগরিক একটি বার্তা দিয়েছেন।’ এ জন্য ভোটারদের ধন্যবাদ জানান তিনি।

 

এর আগে রবিবার কয়েক কোটি তুর্কি নাগরিক মেয়র ও প্রশাসক নির্বাচনে ভোট দেন। এরদোয়ানের দল স্বভাবতই কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহরে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাই ও জয়ের প্রত্যাশা করেছিল। এর মধ্যে ইস্তাম্বুল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ছিল তাদের জন্য। ১৯৯৪ সালে এই শহরের মেয়র হওয়ার মধ্য দিয়েই নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়েছিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

 

বিরোধীদের উচ্ছ্বাস
ইমামোগ্লু সিএইচপির প্রধান কার্যালেয় সাংবাদিকদের বলেন, ‘কয়েক লাখ ভোটে আমরা প্রথম স্থানে রয়েছি...আমরা এই নির্বাচনে জয়লাভ করেছি।’

ইমামোগ্লুর মতো আংকারাতেও একেপিকে ছাড় দেননি বর্তমান মেয়র মনসুর ইয়াভাস। সেখানে জয় সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি বলেন, ‘নির্বাচন শেষ, আমরাই আংকারার সেবা অব্যাহত রাখব।’

রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মধ্যাম টিআরটির তথ্য অনুযায়ী, তৃতীয় বড় শহর ইজমিরসহ ৮১টি প্রদেশের মধ্যে ৩৬টিতে এগিয়ে আছে বিরোধী সিএইচপি।

আনাদোলু এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, সব প্রদেশের গণনা হওয়া ৯০ শতাংশ ব্যালট বাক্সের ফলাফলে সিএইচপি ৩৭.৩২ শতাংশ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছে, যেখানে একেপির ভোট ৩৫.৭৮ শতাংশ।

৩৫ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো সিএইচপি দেশজুড়ে ১ শতাংশ ভোটে এগিয়ে আছে।

 

‘আত্মসমালোচনার’ আহ্বান এরদোয়ানের
এদিকে আংকারায় দলের প্রধান কার্যালয়ে সমর্থকদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে এই ফলাফলকে দলের জন্য ধাক্কা হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত আমরা স্থানীয় নির্বাচনে যে ফলাফল প্রত্যাশা করেছিলাম তা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছি। আমরা সততার সঙ্গে এই নির্বাচনের ফলাফল মূল্যায়ন করব...এবং সাহসের সঙ্গে আত্মসমালোচনা করব।’

এই নির্বাচনে ভোটার ছিলেন ছয় কোটি ১০ লাখ, যার মধ্যে ১০ লাখের বেশি প্রথমবার ভোটার হয়েছেন। আনাদোলু এজেন্সির তথ্য অনুযায়ী, মোট ভোটারের ৭৬ শতাংশ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন।

২০১৯ সালেও ইস্তাম্বুল ও আংকারায় জয় পায় সিএইচপি। সেবার ইস্তাম্বুলে অনিয়মের অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোটের দাবি তুলেছিল দেশটির ক্ষমতাসীন দল। এক সময় এই শহরটি বর্তমান প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন।