NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, মে ১৬, ২০২৫ | ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সাম্য হত্যার আসামি গ্রেফতার করা পুলিশ টিম পেলো লাখ টাকা পুরস্কার ভাড়া কমানোর আহ্বান বেবিচকের, সায় দিলো এয়ারলাইনগুলো কাতারের বিমান উপহার: ট্রাম্পের সমালোচনা করছেন তার সমর্থকরাও ২৮তম লা লিগা শিরোপা ঘরে তুললো বার্সেলোনা সমালোচিত নায়িকা, ‘দ্য রয়্যালস’ সিরিজের ১১টি ভুল পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের হাতে: প্রধান উপদেষ্টা সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের দিল্লি ক্যাপিটালসে ডাক পেলেন মোস্তাফিজ লন্ডনের মঞ্চে ‘ডিডিএলজে’, চমকে দিলেন শাহরুখ খান জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার -প্রেস সচিব
Logo
logo

যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হোন : সেনাবাহিনীকে শি জিনপিং


খবর   প্রকাশিত:  ০২ নভেম্বর, ২০২৪, ০৫:১৪ এএম

যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হোন : সেনাবাহিনীকে শি জিনপিং

বিশ্বজুড়ে রাজনৈতিক অস্থিরতা যত বাড়ছে, তাতে চীনের ভৌগলিক অখণ্ডতা, সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঝুঁকিও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি’ জিনপিং। এ কারণে দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় সেনাবাহিনীকে ‘যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত’ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট।

মূলত তাইওয়ান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের ক্রমবর্ধমান তিক্ততার দিকেই ইঙ্গিত করেছেন শি’। তার আশঙ্কা স্বায়ত্বশাসিত এই দ্বীপ ভূখণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের দ্বন্দ্ব অদূর ভবিষ্যতে সশস্ত্র সংঘাতে মোড় নিতে পারে।

বৃহস্পতিবার চীনের সেনাবাহিনী পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ড পরিদর্শনে গিয়েছিলেন শি জিনপিং। সেখানে সেনাসদস্যদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বর্তমান সময়ে বিশ্ব অস্থিরতা ও পরিবর্তনের এক নতুন সময়ে প্রবেশ করেছে এবং আমাদের দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি দিন দিন আরও বেশি অস্থিতিশীলতা ও অনিশ্চয়তার ঝুঁকির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।’

‘তাই এখন থেকে একদিকে যেমন আমাদের সত্যিকারের যুদ্ধ এবং লড়াই বিষয়ক পরিকল্পনায় মনযোগ দেওয়া প্রয়োজন, তেমনি আসন্ন সেসব লড়াইয়ে আমাদের জয়ী হওয়ার সক্ষমতাও বাড়ানো প্রয়োজন।’

সেনা সদস্যদের উদ্দেশে জিনপিং বলেন, ‘মনে লড়াই করার মতো সাহস আনুন, দক্ষ হয়ে উঠুন এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করুন।’

চীনের উত্তরপশ্চিমাঞ্চলে অবস্থিত দ্বীপভূখণ্ড তাইওয়ান একসময় দেশটির মূল ভূখণ্ডের অংশ ছিল। ১৯৪৯ সালে মাও সে তুংয়ের নেতৃত্বে কমিউনিস্টরা বেইজিং দখল করলে তৎকালীন শাসকরা তাইওয়ানে পালিয়ে যান, দ্বীপটিও চীনের মূল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

এদিকে, গত শতকের পঞ্চাশের দশকে ‘তাইওয়ান চুক্তি’ নামের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় ওয়াশিংটন ও তাইপের মধ্যে। সেই চুক্তি অনুযায়ী এই তাইওয়ানকে নিয়মিত সামরিক সহায়তা ও অস্ত্র বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এই চুক্তি নিয়ে দীর্ঘ কয়েক দশক ওয়াশিংটনের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলেছে বেইজিংয়ের এবং গত কয়েক বছর ধরে সেই দ্বন্দ্ব পরিণত হয়েছে টানাপোড়েনে। চীনের অভিযোগ— যুক্তরাষ্ট্রের তাইওয়ানকে সামরিক সহায়তা প্রদানের সুদূরপ্রসারী লক্ষ্য হলো চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতার ওপর আঘাত হানা।

তবে এমন এক সময়ে সেনাবাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে বললেন, যখন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়নের জন্য বৈঠক করতে মার্কিন অর্থমন্ত্রী জ্যানেট ইয়েলেন বেইজিংয়ে অবস্থান করছেন।