বাণিজ্য উত্তেজনার মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ফোনে কথা বলেছেন। এর লক্ষ্য ছিল পারস্পরিক শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত উত্তেজনা নিরসন।

এই ফোনালাপ ট্রাম্পের অনুরোধে অনুষ্ঠিত হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটনে অবস্থিত চীনা দূতাবাস। যদিও আলোচনার বিস্তারিত জানানো হয়নি।

 

হোয়াইট হাউজ এই ফোনালাপ সম্পর্কে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে দুর্লভ খনিজ পদার্থ নিয়ে উত্তেজনা বেড়েছে। এই খনিজ পদার্থ গাড়ি, চিপস এবং সামরিক পণ্যে ব্যবহৃত হয়। চীন এসব রপ্তানি বন্ধ করায় বিশ্বজুড়ে সরবরাহে সমস্যা তৈরি হয়েছে।

 

মে মাসে দুই দেশ ৯০ দিনের একটি চুক্তি করে, যেখানে কিছু শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু ট্রাম্প এখন অভিযোগ করছেন, চীন এই চুক্তি মানছে না। তিনি চীনে প্রযুক্তি রপ্তানিতে বাধা এবং ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করেছেন। চীন এসব অভিযোগ অস্বীকার করে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই দুই অর্থনীতির মধ্যে দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা উদ্বিগ্ন। অনেকেই বলছেন, ট্রাম্পের হঠাৎ হঠাৎ সিদ্ধান্ত নেওয়া এবং পরে আবার তা বাতিল করা বাজারে অনিশ্চয়তা তৈরি করছে।

এই ফোনালাপকে অনেকে দেখছেন দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্ক কিছুটা শান্ত রাখার চেষ্টা হিসেবে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য আরও গভীর আলোচনা দরকার।