যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তার সরকারের শুল্কনীতি দেশীয়ভাবে ট্যাংক, চিপ ও কম্পিউটারের মতো প্রযুক্তিনির্ভর বড় পণ্য তৈরিকে উৎসাহিত করতে নেওয়া হয়েছে, জামা-কাপড় বা জুতার মতো সাধারণ পণ্য নয়।

গত রোববার (২৫ মে) নিউ জার্সি থেকে এয়ার ফোর্স ওয়ানে ওঠার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প বলেন, আমি সোজা কথায় বলতে চাই—আমি টি-শার্ট বানাতে চাই না, মোজা বানাতে চাই না। সেটি আমরা খুব ভালোভাবেই অন্য জায়গায় করতে পারি। আমরা চিপস, কম্পিউটার, ট্যাংক, জাহাজ—এ ধরনের বড় কিছু বানাতে চাই। আমরাই করবো ‘এআই’ জিনিসটা।

 

ট্রাম্প আরও জানান, তিনি অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের সেই মন্তব্যের সঙ্গে একমত, যেখানে বলা হয়েছিল, যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফুলে-ফেঁপে ওঠা টেক্সটাইল শিল্পের’ দরকার নেই। যদিও ওই বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে ন্যাশনাল কাউন্সিল অব টেক্সটাইল অর্গানাইজেশনস।

 

তবে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার অ্যাসোসিয়েশন (এএপিএ) ট্রাম্পের বক্তব্যের জবাবে বলেছে, আরও শুল্ক চাপালে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই শিল্প এবং সাধারণ ভোক্তা। এএপিএ প্রেসিডেন্ট স্টিভ লামার বলেন, আমাদের পরা ৯৭ শতাংশ কাপড় এবং জুতা আমদানি করা হয়। এরই মধ্যে আমাদের খাতটি যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ হারে শুল্কাধীন। নতুন শুল্ক শুধু উৎপাদন ব্যয় বাড়াবে এবং দরিদ্র মানুষের জন্য পোশাক আরও ব্যয়বহুল হবে।

 

 

 

ট্রাম্প এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর হুমকি দেন, যা কার্যকর হওয়ার কথা ছিল ১ জুন থেকে। তিনি আমদানি করা আইফোনের ওপরও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন। তবে রোববার তিনি সেই হুমকি কিছুটা প্রশমিত করে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনার সুযোগ দিতে সময়সীমা বাড়িয়ে ৯ জুলাই পর্যন্ত করেছেন।

সূত্র: রয়টার্স