বেআইনি অনুপ্রবেশ রুখতে সোমবার থেকে জার্মানির সব স্থল সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ শুরু করল। এর আওতায় লুক্সেমবার্গ, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক সীমান্তে জার্মান পুলিশ নজরদারি শুরু করছে।
এর আগেই পোল্যান্ড, চেক প্রজাতন্ত্র, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ফ্রান্স সীমান্তে এমন কড়াকড়ি শুরু হয়েছিল। ২০১৫ সাল থেকেই অস্ট্রিয়ার স্থল সীমান্তে এমন ব্যবস্থা চালু আছে।
আপাতত ছয় মাসের জন্য জার্মানি এই পদক্ষেপ চালু রাখবে। এক সপ্তাহ আগে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউরোপীয় কমিশনের কাছে নিয়ন্ত্রণের এই সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছিলেন।
এদিকে প্রতিবেশী দেশগুলো জার্মানির এমন সিদ্ধান্তের ফলে মোটেই খুশি নয়।
অন্যদিকে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ অভিবাসন ও অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণে আরো পদক্ষেপ নিয়ে চলেছে। তিনি উজবেকিস্তান সফরে গিয়ে সে দেশের সঙ্গে এক বহুমুখী চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন। এর আওতায় একদিকে সে দেশ থেকে আইনি পথে দক্ষ কর্মীদের জার্মানিতে কাজের সুযোগ দেওয়া হবে।
তবে এই চুক্তির আওতায় জার্মানি থেকে আফগান নাগরিকদের উজবেকিস্তানে পাঠানো হবে কি না, জার্মান চ্যান্সেলর সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তালেবান সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক না থাকায় জার্মানি গত ৩০ আগস্ট কাতারের সহায়তায় কিছু আফগান অপরাধীকে সে দেশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল। উজবেকিস্তানে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফেজার বলেন, তিনি এমন আরো আফগান নাগরিককে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন।