ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের সঠিক প্রয়োগ দেখতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ আইনের মাধ্যমে কেউ যেন অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে নজর রাখবে বলে ওয়াশিংটনকে আশ্বস্ত করেছে ঢাকা।
সোমবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ঢাকা সফররত মার্কিন আন্তর্জাতিক সংস্থা বিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিশেল জে সিসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, আমাদের যে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের লুক ফলসগুলো আছে, সেগুলো নিয়ে আমরা বর্তমানে কাজ করছি এবং তারা (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গেও আলোচনা করেছে। আমরা চাই এই ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের যে প্রয়োগটা সেখানে যেন কোনো ধরনের অসঙ্গতি না থাকে। সেক্ষেত্রে কারও যেন ক্ষতির মুখে না পড়তে হয়। এ ব্যাপারে আমরা অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করেছি।
তিনি বলেন, তাদের (যুক্তরাষ্ট্র) আমরা বলেছি, এ ব্যাপারে আমরা সজাগ আছি। আমরাও চেষ্টা করব, যদি কোনো ধরনের অ্যাবিউজড থাকে সেটাকে মিনিমাইজ করতে এবং আমাদের রিভিউর কিছু কিছু কাজও হচ্ছে।
মাসুদ-সিসনের বৈঠকে ঢাকা-ওয়াশিংটন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, খাদ্য নিরাপত্তা, মানবাধিকার, রোহিঙ্গা ইস্যু, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, পিস কিপিং, জলবায়ু পরিবর্তনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ইস্যুতে আলোচনা হয়।
মোমেন বলেন, তার সঙ্গে বহু বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে আলোচনায় বহুপক্ষীয় বিষয় গুরুত্ব পেয়েছে। সামনে জাতিসংঘের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক আছে। সেখানকার বিভিন্ন ইভেন্ট নিয়ে আলোচনা হয়েছে; সেখানে দুইপক্ষের মধ্যে কোনো কোনো ইস্যুতে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করা যায়, সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেখানে আমাদের যে সাকসেস আছে, তারা সেখানে প্রশংসা করেছে। আমরাও তুলে ধরেছি, কোভিডের সময়ে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি।
তিনি বলেন, যদিও এখন সারা বিশ্ব ইউক্রেন সংকটের কারণে একটা দৌড়ঝাঁপের মধ্যে পড়েছে। আমাদেরও পড়তে হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা করেছে। এ ব্যাপারে তারা আরও অ্যাকটিভ রোল প্লে করবে। এ ব্যাপারে সামনে আরও কীভাবে সহযোগিতা করা যায়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মানবাধিকারের যে বিষয়গুলো আছে, সেগুলো নিয়ে জেনারেল আলোচনা হয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিব বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও আলোচনা হয়েছে। কোভিডের সময় সহযোগিতার কথা এসেছে। এত বিরাট জনসংখ্যার দেশে কোভিড মোকাবিলা নিয়ে তিনি (সিসন) অভিভূত। তারা একটি ইভেন্ট করবে। কোভিড মোকাবিলার চ্যালেঞ্জ এবং সাফল্য নিয়ে। সেখানেও তারা আমাদের পাশে পেতে চায়। আমরাও নীতিগতভাবে তাদের কথা দিয়েছি যে, তাদের এই উদ্যোগে আমরা থাকব। আমাদের যে পরিমাণ অভিজ্ঞতা অর্জন হয়েছে তা আমরা অন্য দেশের সঙ্গেও শেয়ার করব।