১৪৩১ বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। ভোরে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জয়গানের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র ছায়ানট। প্রতিবারের মতো এবারো রমনার বটমূলে সুরের মাধুরীতে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে নতুন বছরকে।
ভোরের আলো ফুটতেই আহীর ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় এ আয়োজন।
প্রায় ১৭০ জন শিল্পী অংশ নিচ্ছেন এবার। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এ বছর প্রথমবারের মতো গাইছেন প্রায় ৮০ জন শিল্পী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী এবং ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সানজীদা খাতুন নতুন বছরের আশীর্বাণী শোনানোর কথা রয়েছে।
একক কণ্ঠে গাওয়া হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আঁধার রজনী পোহালো’, ‘তোমার সুর শুনায়ে’র মতো জনপ্রিয় গান। দাদরা তালে গাওয়া হবে অতুলপ্রসাদের ‘ওরে বন, তোর বিজনে সঙ্গোপনে’।
ছায়ানট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে। ষাটের দশকের পাকিস্তানি শাসনামলের গনগনে রাজনৈতিক আবহাওয়ায় ১৯৬৭ সালে শুরু হয়েছিল তাদের নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান। এরপর থেকে প্রতিবছর রমনার বটমূলে গানে গানে নতুন বাংলা বছরকে আবাহন করে আসছে ছায়ানট। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শুধু এর ব্যত্যয় ঘটেছিল। ২০০১ সালের নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে জঙ্গিরা বোমা হামলা করেছিল। তাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবু কোনো বছরই অনুষ্ঠানে ছেদ পড়েনি। করোনা অতিমারির দুটি বছরও ছায়ানট নববর্ষকে বরণ করেছে অনলাইনে। গত বছর রমজান মাসে পয়লা বৈশাখ হওয়ায় সংযমের ভেতর দিয়ে অনুষ্ঠানটি হয়। এবার পুরো দমে পুরনো আমেজ ফিরে এসেছে।