NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শনিবার, মে ১৭, ২০২৫ | ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক স্থাপন এখন সময়ের দাবি: প্রধান উপদেষ্টা ভারত ও পাকিস্তানের পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কা ঠেকিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র -ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজায় বড় সামরিক অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েল ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই আরও গভীর তুরস্ক-পাকিস্তান সম্পর্ক রোনালদোকে ছাড়া খেলতে নেমে এবার বড় ধাক্কা আল নাসরের ফিরছে লাক্স সুপারস্টার প্রতিযোগিতা অভ্যুত্থানের ৯ মাস পরও বড় পরিবর্তন সহজ হচ্ছে না এনসিপির যুব সংগঠন ‘জাতীয় যুবশক্তি’ স্বাগত জানাতে মেলোনিকে দেখে হাঁটু গেড়ে বসলেন আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী দুই ঘণ্টাতেই শেষ রাশিয়া-ইউক্রেন শান্তি আলোচনা, মেলেনি সমাধান
Logo
logo

রমনা বটমূলে চলছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান


খবর   প্রকাশিত:  ১৪ এপ্রিল, ২০২৪, ০১:২৫ পিএম

রমনা বটমূলে চলছে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান

১৪৩১ বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানিয়ে রমনার বটমূলে শুরু হয়েছে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। ভোরে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জয়গানের মধ্য দিয়ে বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়েছে সাংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র ছায়ানট। প্রতিবারের মতো এবারো রমনার বটমূলে সুরের মাধুরীতে বরণ করে নেওয়া হচ্ছে নতুন বছরকে।

ভোরের আলো ফুটতেই আহীর ভৈরব রাগে বাঁশির সুরে শুরু হয় এ আয়োজন।

এবার পুরো অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে নতুন স্নিগ্ধ আলোয় স্নাত প্রকৃতির গান, মানবপ্রেম-দেশপ্রেম আর আত্মবোধন-জাগরণের সুরবাণী দিয়ে। তাতে ছায়ানটের আহ্বানে ভোগবাদ নয়, স্বার্থপরতা নয়, মনুষ্যত্বকে পাওয়ার অভিলাষই থাকছে।

 

প্রায় ১৭০ জন শিল্পী অংশ নিচ্ছেন এবার। বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে এ বছর প্রথমবারের মতো গাইছেন প্রায় ৮০ জন শিল্পী।

এ অনুষ্ঠানে একক গান গাইবেন ১৮ জন শিল্পী। আর থাকবে কিছু একক পাঠ। সব মিলিয়ে ৩০টি পরিবেশনা দিয়ে সাজানো হয়েছে এবারের আয়োজন।

 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের বরেণ্য রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী এবং ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সানজীদা খাতুন নতুন বছরের আশীর্বাণী শোনানোর কথা রয়েছে।

তিনি অনুপস্থিত থাকলে তাঁর পক্ষে কেউ সেটা পড়ে শোনাবেন। ছায়ানটের সহসভাপতি খায়রুল আনাম শাকিল পরিবেশন করবেন অজয় ভট্টাচার্যের লেখা গান, ‘প্রথম আলোক, লহ প্রণিপাত’। বরেণ্য শিল্পী শাহীন সামাদের কণ্ঠে শোনা যাবে কাজী নজরুল ইসলামের ‘খেলিছ এ বিশ্ব লয়ে’ গানটি।

 

একক কণ্ঠে গাওয়া হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আঁধার রজনী পোহালো’, ‘তোমার সুর শুনায়ে’র মতো জনপ্রিয় গান। দাদরা তালে গাওয়া হবে অতুলপ্রসাদের ‘ওরে বন, তোর বিজনে সঙ্গোপনে’।

কাজী নজরুল ইসলামের ‘নম নম নম বাংলাদেশ মম’ আর ‘আনো আনো অমৃত বারি’র পাশাপাশি থাকবে নিশিকান্ত রায় চৌধুরীর ‘অধরা দিল ধরা এ ধুলার ধরণিতে’। বর্ষবরণের আয়োজনের সবশেষে পরিবেশিত হবে জাতীয় সংগীত।

 

ছায়ানট প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৬১ সালে। ষাটের দশকের পাকিস্তানি শাসনামলের গনগনে রাজনৈতিক আবহাওয়ায় ১৯৬৭ সালে শুরু হয়েছিল তাদের নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠান। এরপর থেকে প্রতিবছর রমনার বটমূলে গানে গানে নতুন বাংলা বছরকে আবাহন করে আসছে ছায়ানট। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শুধু এর ব্যত্যয় ঘটেছিল। ২০০১ সালের নববর্ষ বরণ অনুষ্ঠানে জঙ্গিরা বোমা হামলা করেছিল। তাতে ১০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবু কোনো বছরই অনুষ্ঠানে ছেদ পড়েনি। করোনা অতিমারির দুটি বছরও ছায়ানট নববর্ষকে বরণ করেছে অনলাইনে। গত বছর রমজান মাসে পয়লা বৈশাখ হওয়ায় সংযমের ভেতর দিয়ে অনুষ্ঠানটি হয়। এবার পুরো দমে পুরনো আমেজ ফিরে এসেছে।