নির্বাচন ঘিরে বিএনপি আবারও সন্ত্রাসী কার্যক্রম শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশকে আমরা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আর বিএনপি ২৮ অক্টোবর পুলিশকে ফেলে পিটিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে, হাসপাতালে ঢুকে অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিয়েছে। জ্বালাও-পোড়াও-খুন, বিএনপির গুণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ইসদাইর এলাকায় একেএম শামসুজ্জোহা ক্রীড়া কমপ্লেক্স মাঠে আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি। এই মর্যাদা ধরে রেখে আমরা হব ২০৪১ সালের বাংলাদেশ।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, “কেউ দাবায় রাখতে পারবা না”। তো বাংলাদেশকে কেউ দাবায় রাখতে পারবে না।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, ‘মিলিটারি ডিক্টেটররা যখন একে একে ক্ষমতায় এসেছে, জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এখন আবার তারা একই কাজ করতে চায়।
বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগই জনগণকে নিয়ে জনগণের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছে। এই ভোটের অধিকার সাংবিধানিক অধিকার, সে অধিকার আমরা সংরক্ষিত করেছি। সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন, ভোট দিয়ে প্রমাণ করবেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র বিদ্যমান। ২০০৯ থেকে ২০২৩ গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে। আজ আমরা ২০২৪ সালে পা দিয়েছি। গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলে বাংলাদেশের এত উন্নতি হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘ঠিক প্যালেস্টাইনে (ফিলিস্তিন) ইসরায়েল যেভাবে হামলা করছে, হাসপাতালের ওপর বম্বিং (বোমাবর্ষণ) করছে, ঠিক বিএনপিও সেই ইসরায়েলকে অনুসরণ করে আজ পুলিশ হাসপাতালে আক্রমণ, অ্যাম্বুলেন্সে আক্রমণ করছে। ওদের মনুষ্যত্ব বলে কিছু নেই। আজকে নির্বাচনে তারা আসেনি, সেটি তাদের ইচ্ছা। কিন্তু মানুষের ভোটের অধিকারে বাধা দেওয়া কখনোই দেশের জনগণ মেনে নেবে না। এ অধিকার মানুষের অধিকার। সুতরাং ৭ জানুয়ারির নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।’
নৌকা মার্কায় ভোট চেয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের মার্কা নৌকা মার্কা, এ নৌকায় ভোট দিয়ে দেশের মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে, এ নৌকা আজ উন্নয়ন দিয়েছে, এই নৌকা-ই আগামী উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলবে। তাই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাদের প্রার্থীদের আপনারা জয়যুক্ত করবেন। আপনাদের কাছে সে আহ্বান জানাই।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাইয়ের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী, গাজী গোলাম দস্তগীর, নজরুল ইসলাম বাবু, শামীম ওসমানের সহধর্মিণী সালমা ওসমান লিপি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চন্দন শীল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খোকন সাহা প্রমুখ।