আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি। আজ বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবন থেকে সিইসির ভাষণ বাংলাদেশ টেলিভিশন, বেতারসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
ভাষণে সিইসি বলেন, কমিশন তার আয়ত্তে থাকা সব সামর্থ্য দিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে দায়িত্ব পালন করবে।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনে মোট দুই লাখ ৬২ হাজার বুথে ভোট গ্রহণ করা হবে।
নির্বাচনের জন্য ৩০০ আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করেছে কমিশন। তালিকা অনুযায়ী মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ছয় কোটি সাত লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন। নারী ভোটার পাঁচ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫২ জন।
ভাষণে সিইসি বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলকে আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীকে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নির্বাচন কমিশন তাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছে। জাল ভোট, পেশিশক্তির ব্যবহার নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারে। জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে তা প্রতিহত করতে হবে।
সিইসি আরো বলেন, ‘নির্বাচন ঘিরে সংঘাত সহিংসতা হলে তা বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। আমি সব রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানাব শান্তিপূর্ণভাবে আলোচনা করে সমাধান করুন। সংলাপের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান অসম্ভব নয়।’
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণের আগে নির্বাচন ভবনে ভোটগ্রহণের তারিখ নির্ধারণে সভায় বসেন কমিশনাররা। বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে সিইসির নিজ দপ্তরে এ সভা শুরু হয়। সভায় চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব জাহাংগীর আলম উপস্থিত ছিলেন। তফসিল ঘোষণা উপলক্ষে নির্বাচন ভবনের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত আছেন।