নিউইয়র্ক: নিউইয়র্কে শোটাইম মিউজিকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে জমজমাট বৈশাখী উৎসব ১৪৩০। উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে ২৩ এপ্রিল রোববার বিকেল ৬টায় শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠান চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সকলের জন্য ছিল পান্তা, ইলিশ ও ভর্তা। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে বর্ণিল নাচ, গান ছাড়াও ছিল রকমারী শাড়ী-কাপড় ও জুয়েলারী স্টোর। অনুষ্ঠানটি ছিল সকলের জন্য উন্মুক্ত। 
অনুষ্ঠানে শো টাইম মিউজিকের প্রধান নির্বাহী আলমগীর খান আলম বলেন, বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখ উদযাপন বাঙালির প্রাচীনতম ঐতিহ্য। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাংলাদেশে এই নববর্ষ উদযাপন পরিণত হয়েছে সর্বজনীন উৎসবে। আবহমানকাল ধরে বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হচ্ছে বর্ষবরণের উৎসব। নতুন বছর মানেই সবার কাছে নতুনত্বের প্রেরণা, নতুনভাবে জেগে ওঠার কল্পনা। অচেনা অজানার বিরুদ্ধে নতুন করে লড়াই করার স্বপ্ন দেখা। তাই পুরনো দিনের গ্লানি ভুলে নতুনভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়ার তাগিদেই এ দিনটিকে আপন করে নিতে এ আয়োজন।
আলমগীর খান আলমের বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠানটি ছিল যেন একখন্ড বাংলাদেশ। মঞ্চ সাজানো হয়েছিল বৈশাখ ও বর্ষবরণের আদলে। আলমগীর খান আলম নিজ হাতে অতিথিদের পান্তাভাত, ভাজা ইলিশ ও ভর্তা দিয়ে আপ্যায়িত করেছেন। সবাই লাইন ধরে বাঙ্গালীর চির চেনা সে খাবার নিয়েছেন হাত বাড়িয়ে।
অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন জনপ্রিয় শিল্পী চন্দন চৌধুরী, শাহ মাহবুব, রুখসানা মির্জা, তাহমিনা মিম, ডা. কামরুল ইসলাম, লাল্টু। এ আয়োজনে বিপার শিল্পীদেরও ছিল মনোমুগ্ধকর পারফরমেন্স। দর্শকদের প্রসংশা কুড়িয়েছে এসব পরিবেশনা।
হল ভর্তি বৈশাখী অনুষ্ঠানে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে ছিলেন নাসির আলী খান পল, ডা. চৌধুরী সারোয়ার হাসান, ডা. এনামুল হক, আব্দুর রহমান, আবু তালেব চৌধুরী চান্দু, লায়ন আহসান হাবিব, হাসান জিলানী, নুরুজ্জামান সর্দার, মফিজুর রহমান, ময়নুজ্জামান চৌধুরী, কাজী আজম, সেলিম ইব্রাহিম, জাহাঙ্গীর আলম জয়, আকাশ রহমান, মিজানুর রহমান শেফাজ, আব্দুর রশীদ বাবু, এশা রহমান, শাহিদা শিকদার হাই, এম এন হায়দার মুকুট। উপস্থাপনায় ছিলেন এডভোকেট কামরুজ্জামান বাবু ও মিয়া মোহাম্মদ দুলাল।