ভারতের মুম্বাইস্থ বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে আজ পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের ঐতিহাসিক মুহূর্ত   উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে উদ্যাপন করা হয়। ঐতিহাসিক এ মুহূর্ত উদ্যাপনের জন্য বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। বড়পর্দায় বাংলাদেশ হতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। এরপর উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। মুম্বাই-এ বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ এবং উপ-হাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানের প্রারম্ভে মুম্বাই-এ নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-হাই কমিশনার জনাব চিরঞ্জীব সরকার আমন্ত্রিত অতিথিদের স্বাগত জানান। অতিথিদের উদ্দেশ্যে দেয়া স্বাগত বক্তব্যে তিনি বলেন জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অদম্য ও দৃঢ়চেতা নেতৃত্বে সম্পূর্ণ নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাইলফলক সৃষ্টি করেছে। এ সেতুর শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে দক্ষিণ বাংলার জেলাগুলোতে এবং বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা সমূহে ব্যাপক উন্নয়নের ধারাবাহিকতা তৈরী হয়েছে। এর ফলে জাতি হিসেবে আমাদের মনোবল ও সক্ষমতা বিশে^র দরবারে অনেক উন্নত হবে যা কোন সংখ্যা দিয়ে পরিমাপ করা সম্ভব নয়। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে স্বপ্ন পূরণের এই দিনকে স্মরণীয় করতে কেক কাটা হয়। 

উল্লেখ্য যে, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) জনিত  বিশ^ মহামারীর সতর্কতা ও এ সংক্রান্ত স্থানীয় বিধি বিধানের কারনে সীমিত আকারে দিবসটি পালন করা হয়।