মুহূর্তের মধ্যেই ভাগ্য বদলে গেল তার। পেশায় গাড়ির চালক তিনি। ভাগ্য হয়তো একদিন বদলে যাবে এমন আশায় লটারির টিকিট কেটেছিলেন। অতীতে দু’বার লটারিতে টিকিট কাটলেও ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি তার। তবে আশা ছাড়েননি। এবার এই গাড়ির চালক রাতারাতি লটারির প্রথম পুরস্কার জিতে পেয়ে গেলেন ৫৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার বেশি।
হঠাৎ কোটিপতি বনে যাওয়া এই গাড়ি চালকের নাম পদম। তিনি নেপালের নাগরিক। ২৩ বছর ধরে থাকেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে। বুধবার দুবাইয়ে আমিরাতি মিলিয়ন দিরহাম মাহজুজ লাইভের ১২৪তম ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ২০২৩ সালের গ্র্যান্ড পুরস্কার বিজয়ী হিসেবে প্রথম পুরস্কার জিতেছেন তিনি।
মাহজুজ ড্রয়ের ৫, ১০, ৪১, ৪৬ ও ৪৯— মোট পাঁচটি নম্বর পদমের টিকিটের সাথে মিলে যাওয়ায় চলতি বছরের প্রথম পুরস্কার হিসেবে তিনি ২ কোটি আমিরাতি দিরহাম পেয়েছেন। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৫৭ কোটি ৮৩ লাখ ৭৭ হাজার টাকার বেশি।
বুধবার লটারির চেক হাতে পেয়েছেন তিনি। পদম আমিরাতে প্রত্যেক মাসে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ দিরহাম আয় করেন। সবসময় চড়াই-উৎড়াই করে জীবন চালাতে হয় তাকে। তবে লটারিতে পাওয়া কোটি কোটি টাকার কিছু তিনি মানুষের সেবায় ব্যয় করবেন বলে জানিয়েছেন।
‘আমি সাধ্য অনুযায়ী অন্ধ মানুষকে সহায়তা করেছি। বৃদ্ধ মানুষকে ভর দিয়ে চলার জন্য লাঠি কিনে দিয়েছি। তবে এখন আমি আরও বড় পরিসরে তাদের সহায়তা করতে পারবো।’
গত ২৩ বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাস করছেন নেপালের এই নাগিরক। দেশ ছেড়ে আমিরাতে পাড়ি জমানোর পর প্রথম যে একই কোম্পানিতে গাড়ি চালকের কাজ নিয়েছিলেন তিনি, এখনও সেই কোম্পানিতেই রয়েছেন।
মাহজুজ লটারির টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পর থেকেই তা কিনতেন পদম। ‘তখন এই টিকিট অন্য নামে বিক্রি করা হতো। আমি তখন জিততে পারিনি। কিন্তু মাহজুজ লটারি শুরু করার পর আমি একবার ৩৫ আরেকবার সাড়ে ৩০০ দিরহাম জয়ী হয়েছিলাম। আর এখন আমি এটা জিতেছি, যা কখনও স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারি না।
নেপালি এই প্রবাসী বলেন, স্ত্রী ও কন্যাকে একটি করে সংখ্যা দিতে বলে সৌভাগ্যের সংখ্যা নির্বাচন করেছিলেন তিনি। তারপর তিনি বাছাই করেন বাকি তিনটি সংখ্যা। তিনি বলেন, মাহজুজের জন্য নম্বর বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে তিনি সবসময়ই এই উপায় অবলম্বন করতেন।