পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এমপি, উদীয়মান বাংলাদেশ এবং এর আর্থ-সামাজিক অর্জনের বিষয়ে ১১ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটিতে যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা থিঙ্কট্যাঙ্ক ‘আটলান্টিক কাউন্সিল’র সাউথ এশিয়া সেন্টার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্য উপস্থাপনকালে চমৎকার আর্থ-সামাজিক অগ্রগতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের গল্প উপস্থাপন করেন। 

ড. মোমেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব ও সম্ভাবনা, অর্থনৈতিক কূটনীতি, আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং প্রধান প্রধান শক্তিগুলির সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিষয় নিয়েও আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে। দেশমাতৃকার সার্বিক কল্যাণে শেখ হাসিনার আন্তরিক আগ্রহের কাছে সকল প্রতিবন্ধকতা দূর হয়ে যায় এবং তারই সুফল আজকের বাংলাদেশ বলে মন্তব্য করেন ড. মোমেন।

পরে তিনি কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়া কেন্দ্রের সিনিয়র ডিরেক্টর প্রফেসর ড. ইরফান নুরুদ্দিনের সঞ্চালনায় একটি প্রাণবন্ত প্রশ্ন-উত্তর পর্বে অংশ নেন।

 

এরআগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন ওয়াশিংটন ডিসিতে ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) আয়োজিত একসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

সভায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপট, নির্বাচনী প্রক্রিয়া এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক সাধারণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলেন।

আইআরআই কর্মকর্তারা বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন পর্যবেক্ষণে তাদের আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন-যাকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তরিকভাবে স্বাগত জানান। ইনস্টিটিউটের সভাপতি ড্যানিয়েল টুইনিং সভা সঞ্চালনা করেন।

এ দুটি অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (উত্তরআমেরিকা) খন্দকার মাসুদুল আলম এবং ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারাও ছিলেন।

এদিন সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ভার্জিনিয়ায় বাংলাদেশি উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠিত ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (ডব্লিউইউএসটি) পরিদর্শন করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে এমন একটি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের জন্য এর সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট হাসান কারাবুর্ক এবং চ্যান্সেলর ও প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার আবুবকর হানিপ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।